সন্ত্রাসবিহীন ভোট কী করে হয় তা শিখতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ত্রিপুরায় আস♏ার আমন্ত্রণ জানালেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তাঁর কথায় গণতন্ত্রের অর্থ কী তা শিখতে ত্রিপুরায় যেতে হবে মমতাকে। যদিও ত্রিপুরায় গত বিধানসভা ভোটে মানিক সাহার দল বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল।
দলীয় কর্মীদের একটি সভায় মানিক সাহা বলেন, 'গণতান্ত্রিক পরিবেশে কী ভাবে ভোট করতে হয় তা ত্রিপুরাকে দেখে শেখা উচিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর। গণতন্ত্রের আসল মানে বুঝতে ওঁনার ত্রিপুরা আসা উচিত। আমাদের রাজ্যে এলেই উনি বুঝতে পারবেন কী করে 🎐গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন হয়। '
(পড়তে পারেন। Bengal Violence: ভোটের দিন TMCর মারে জখম হয়েছিলেন, ৮ দিন পর মৃত বাম কর্ম♑ী, ভোটে মৃত্যু বেড়ে ৫৩)
এদিন তিনি দলীয় কর্মীদের বাংলার 'সন্ত্রাসে'র ছবি সে🔯খানকার বাসিন্দাদের কাছে তুলে ধরতে বলেন। তিনি বলেন, 'আপনারা ঘরে ঘরে যান। বিশেষ করার যারা তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক তাঁদের বাড়িতে যান। তাঁদেরকে পশ্চিমবঙ্গে ভোটের সময় হিংসার কথা তুলে ধরুন।'
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন হয়। সেই নির্বা⛄চনে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। এমন কী বহু জায়গায় তাদের মনোনয়ন জমা দিয়ে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলে জোড়া ফুল শিবির। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোট হয় ত্রিপুরায়। তার পর অন্তত ১৮টিরও বেশি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনা হয়। মানিক সাহার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে সন্ত্রাসের দিকে আঙুল তুলছে।
পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভোটের ফলপ্রকাশের পর সাতদিন কাটতে চললেও এখনও বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর আসছেন। পঞ্চায়েত🗹 ভোটে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু শাসকদলের কর্মীদের। বিরোধীরা বলছে মানুষের প্রতিরোধই এর কারণ। শুধু ভোটের দিনই ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিরোধীদের দাবি বিভিন্ন জায়গায় শাসকের সন্ত্রাস অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ভোটের দিন শাসক🐈ের সন্ত্রাসের ফলে কোচবিহারের ২৫০ জন মানুষ প্রাণ বাঁচাতে অসমে আশ্রয় নিয়েছেন। হিমন্ত বিশ্ব শর্মার এই দাবিকে 'ভুয়ো' বলেছে তৃণমূল।
সেই সময় ⛦এক টুইট করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী একই কথা লিখে🔯ছিলেন। আবারও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের পাঠ নেওয়ার জন্য আসতে বললেন মানিক সাহা।