মণিপুরে হিংসা রুখতে কুকি সমপ্রদায়ের প্রতিনিধইদের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিয়েছল সরকার পক্ষে। তবে কুকি উপজাতিদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন 'কুকি ইনপি মণিপুর' স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল, এন বীরেন সিংয়ের নেতৃত্বে থআকা রাজ্য সরকারের কারও সাথেই আলোচনায় বসবে না মণিপুরের কুকি-জো সম্প্রদায়। এই নিয়ে কুকি সংগঠন বলে, 'পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কুকি-জো সম্প্রদায়কে মুছে ফেলার ছক কষেছে এন বীরেন সিংয়ের সরকার। ২০১৭ সালে বীরেন সিং ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কুকিদের প্রতি বৈষম্য অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে। এই আবহে মৈতৈদের থেকে পুরোপুরি আলাদা হওয়াই শান্তির একমাত্র পথ। আমাদের সংবিধানে যে অধিকার দেওয়া আছে, তার থেকে কমে আমরা মানব না।' (আরও পড়ুন: দিল্লি বিমানবন্দর কাণ্ড𒀰ে মৃত ৩, দাবি TMC সাংসদের, বিস্ফোরক অভিযোগ মোদীর নামে)
আরও পড়ুন: ডিবেটের পর বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী না করার ভা🌌বনা ডেমোক্র্যাটদের: 𒅌রিপোর্ট
আরও পড়ুন: মায়ানমারে অশান্তির জেরে থমকে কলকাতা-ব্যাংকক ত্রিদেশীয় হা༺ইওয়ের কাজ, বৈঠকে জয়শঙ্কর
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। প্রসঙ্গত, ইম্ফল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মেইতেই জনজাতি। তবে তারা সম্প্রতি দাবি তুলেছিল যে তাদের তফসিলি উপজাতির তকমা দিতে হবে। তাদের এই দাবির বিরোধ জানিয়েছিল স্থানীয় কুকি-জো আদিবাসীরা। (আরও পড়ুন: সংখ্যালঘুদের ওপর হিংসা নিয়ে উদ্বেগ, '﷽ভারতে ধর্ম💎ীয় স্বাধীনতা' নিয়ে বিস্ফোরক USA)
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্ট মুই𒁏জ্জুর ওপর 'কালো জাদু' করার অভিযোগে গ্রেফতার মলদ্বীপের ২ꦛ মন্ত্রী!
এদিকে হাই মণিপুর হাই কোর্টে এই নিয়ে মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় হাই কোর্টের তরফ থেকে রায় দিয়ে জানানো হয়, মেইতেইদের নাম তফশিলি উপজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব কি না, তা খতিয়ে দেখুক রাজ্য। এই নির্দেশিকার পরই জো-কুকি সম্প্রদায়ের মানুষরা প্রতিবাদে নামেন। এই আবহে গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে মণিপুরের অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন একটি মিছিলের আয়োজন করেছিল। সেই মিছিল ঘিরেই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে চূড়াচাঁদপুর জেলায়। পরে অবশ্য হাই কোর্ট সংরক্ষণ নিয়ে নিজেদের সেই পর্যবেক্ষণ ফিরিয়ে নেয়। তবে এখনও হিংসা জারি আছে সেই রাজ্যে। এদিকে তফশিলি উপজাতির ইস্যুর পাশাপাশি সংরক্ষিত জমি এবং সার্ভে নিয়েও উত্তাপ ছড়িয়েছিল সেই রাজ্যে। এই আবহে গত ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসেই এই চূড়াচাঁদপুর জেলাতেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের সভাস্থলে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল ইন্ডিজেনাস ট্রাইবাল লিডারস ফোরামের সদস্যরা। এদিকে এই জেলা থেকে কুকি আদিবাসী বনাম মেইতেইদের এই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য জেলাতেও। আর এখনও পর্যন্ত সেই হিংসা প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো সাধারণ মানুষ। (আরও পড়ুন: পান্নুনকাণ্ꦫডে ভারতের জবাবদিহি চাই, 'নরমে গরমে' দিল্লিকে ব💫ার্তা ওয়াশিংটনের)
আরও পড়ুন: 'ভুল করার অধি▨কার আছে', পদে ফিরেই '🦹উলটো সুর' পিত্রোদার গলায়, বিরোধিতা রমেশের
এরই মাঝে গত ২০২৩ সালের জুলাই মাসেই ভাইরাল হয়েছিল মণিপুর বিভীষিকার এক অকল্পনীয় ভিডিয়ো। দেখা গিয়েছিল, দুই মহিলাকে নগ্ন করিয়ে ঘোরানো হচ্ছে রাস্তায়। পরে তাঁদের মাঠে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অভিযোগ, তাঁদের গণধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই ঘটনা ঘটেছিল গত ৪ মে। ঘটনার ৭৭ দিন পর এই মামলায় প্রথম গ্রেফতারি হয়। আর সেই একই দিনে, অর্থাৎ, ৪ মে মণিপুরের রাজধানীতে দুই যুবতীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। সেই মামলায় প্রায় ৮০ দিন পরে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল কয়েকজন অভিযুক্তকে।♏ এছাড়াও একাধিক জাতিগত হিংসার বিভীষিকাম🃏য় ঘটনা এই গত এক বছরে সামনে এসেছে মণিপুর থেকে। সেখানে বিজেপি নেতা, মন্ত্রীদের বাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার।