শোভিত গুপ্তাইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের উচ্চ প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মূলত বিভিন্ন ক্ষেত্রে পেটেন্টের নিরিখে তিনি দেশের এই প্রাচীন বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের কথা তুলে ধরেন। মোদী বলেন, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স বেঙ্গালুরু একটি উল্লেখযোগ্য স্থান পেয়েছে। একটি নজির তৈরি করেছে তারা। আমি আগেই উল্লেখ করেছি যে দেশের দুই প্রখ্য়াত ব্যক্তিত্ব জামশেদজী টাটা ও স্বামী বিবেকানন্দ কীভাবে এই দুই প্রতিষ্ঠানের তৈরির পেছনে অন্যতম অনুপ্রেরণা ছিলেন।২০২২ সালে একাধিক পেটেন্টের নিরিখে তিনি একথা উল্লেখ করেন। ২০২৩ সালের প্রথম মন কি বাত অনুষ্ঠানে এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিক বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, এটা আমাদের কাছে খুব গর্বের আর আনন্দের যে ২০২২ সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স বেঙ্গালুরুর নামে সব মিলিয়ে ১৪৫টি পেটেন্ট নেওয়া হয়েছে। তার মানে প্রতি ৫ দিনে ২ টি করে পেটেন্ট নেওয়া হয়েছে। এই রেকর্ডটি অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয়। IISC এর টিমকে আমি এনিয়ে সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এর সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী এই প্রখ্যাত প্রতিষ্ঠানের নেপথ্যে জামশেদজী টাটা ও স্বামী বিবেকানন্দর অনুপ্রেরণার কথা উল্লেখ করেন।গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স ও পেটেন্টের প্রসঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রী আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, গত ১১ বছরে এই প্রথমবার বিদেশি পেটেন্ট ফিলিংয়ের তুলনায় ডোমেস্টিক পেটেন্টে ফিলিংয়ের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। বিজ্ঞান ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগতির সূচক হল এটি।মোদী বলেন, পেটেন্ট ফিলিংয়ে ভারত এখন সপ্তম স্থানে রয়েছে। ট্রেডমার্কেও রয়েছে সপ্তম স্থানে। গত ৫ বছরে পেটেন্ট ফিলিংয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্সেও ভারত চড়চড় করে এগিয়ে গিয়েছে। ভারতের স্থান বর্তমানে সেই নিরিখে ৪০ তম স্থানে রয়েছে।এর সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উল্লেখ করেছেন ২০২২ সালে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে ভারত। প্রতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী রেডিও মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে বিশেষ বার্তা দেন। এনিয়ে মন কি বাতের ৯৭ তম পর্বে অংশ নেন তিনি। রবিবার ছিল এই বছরের প্রথম মন কি বাত অনুষ্ঠান। সেখান দেশের অন্যতম সেরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানে প্রশংসা করলেন মোদী। মূলত নানা ক্ষেত্রে পেটেন্টের নিরিখে দেশ কীভাবে এগিয়ে সেকথা উল্লেখ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।