শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ এশার নামাজের পর ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা꧋ ঘটে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিমতল্লা এলাকায় একটি মসজিদে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই ঘটনায় ꦍনিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে পৌঁছেছে। ৫০ জনের বেশি মানুষ গুরুতর দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
রাজধানী ঢাকা–লাগোয়া শহর নারায়ণগঞ্জের পশ্চিমতল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনট🌠ি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কীভাবে এত বিরাট আকারের বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখবে জেলা প্রশাসন, দমকল বিভাগ এবং তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তদন্ত কমিটি।
দমকলকর্মীদের অনুমান, মসজি𝕴দের সামনের গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে। গ্যাস লিক করে মসজিদের ভেতরে তা জমে যায়। পরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা অন্য কোনওভাবে আগুন ধরে গিয়ে শক্তিশালী বিস্ফোর♏ণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় মসজিদের ৬টি এসি, ফ্যান, বিদ্যুতের তার, প্যানেল বোর্ড সবকিছু পুড়ে গেছে। দরজা–জানালার সমস্ত কাঁচও ভেঙে গিয়েছে।
শনিবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা চিকিৎসক সামন্তলাল সেনকে ফোন করে ঘটনার খবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সামন্তলালবাবু জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী দগ্ধ ব্যক্তি🎃দের সর্বোচ্চ চিকিৎসা পরিষ✅েবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া গিয়েছে মৃতদের নাম। তাঁর হলেন, মোস্তফা কামাল, রিফাত, রাশেদ, হুমায়ুন কবির, ইব্রাহিম, জুয়েল, সাব্꧋বির, দেলোয়ার হোসেন, জামাল, জুনায়েদ, কুদ্দুস ব্যাপারি ও জুবায়ের নামে ৭ বছরের এক শিশু। জানা গিয়েছে, মৃতদের পরিবারকে সৎকার কার্যের জন্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। আর আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।