দুই দশক ধরে চলেছে মামলা। ২৩ বছর পর এক মানহানি মামলায় ৫ মাসের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হল সমাজকর্ম𓄧ী মেধা পাটকরকে। বর্তমানে দিল্লির লেফ্টন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা এককাল🌞ে একটি এনজিওর প্রধান ছিলেন। সেই সময়ই তিনি ওই মামলা মেধার বিরুদ্ধে দায়ের করেছিলেন। সেই ২৩ বছর পুরনো মামলায় সোমবার রায় দিল দিল্লির এক আদালত।
মামলা চলছে দুই দশকের বেশি সময় ধরে, এছাড়াও পেশ হওয়া প্রমাণের সাপেক্ষে দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাঘব শর্মা মেধা পাটকরের বিরুদ্ধে ওঠা এই মানহানি মামলায় সাজা শোনান। যদিও আদালত এক মাসের জন্য সাজা স্থগিত করেছে যাতে মেধা পাটকর এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করতে 𓄧পারেন। পরীক্ষার শর্তে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার জন্য মেধা পাটকারের আর্জি এদিন বাতিল করে কোর্ট। মূল মামলা ছিল, ভিকে সাক্সেনাকে ‘কাপুরুষ’ বলে মেধা পাটকারের আখ্যা নিয়ে। সেই আখ্যা ছাড়াও মেধা অভিযোগ তুলেছিলেন, হাওলা লেনদেনে সাক্সেনার যোগ রয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে মেধার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন ভিকে সাক্সেনা। এই মামলায় গত ২৪ মে কোর্ট জানায়, এই মন্তব্য ও অভিযোগ মানহানিসূচক, এছাড়াও ভিকে সাক্সেনা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা উসকে দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়াও গুজরাটের জনগণ এবং তাঁদের সম্পদকে বিদেশী স্বার্থের কাছে 'বন্ধক' করার অভিযোগও ছিল মেধার। সাক্সেনার বিরুদ্ধে মেধার সেই অভিযোগ নিয়ে কোর্ট বলে অভিযোগটি ভিকে সাক্সেনার সততা এবং জনসেবার উপর সরাসরি আক্রমণ ছিল। এই মা🍰মলায় সাজা নিয়ে দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শেষ হয়েছে গত ৩০ মে। তবে তার সাজা ঘোষণা হল ১ জুলাই। উল্লেখ্য, গত ২০০০ সাল থেকে আইনি মামলা চলছে মেধা পাটকর ও ভিকে সাক্সেনার মধ্যে। সাক্সেনার বিরুদ্ধে মেধা আইনি মামলা করেন এক বিজ্ঞাপনকে ঘিরে, যেখানে মেধা ও তাঁর নর্মদা বাঁচাও আন্দোলনের বিরুদ্ধাচরণের অভিযোগ ছিল। ‘কাউন্সিল ফর সিভিল লিবার্টিস’ নামে আমেদাবাদের এক এনজিওর তৎকালীন প্রধান ছিলেন বর্তমানে দিল্লির লেফ্টন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। তিনি ২০০১ সালে মেধা পাটকরের বিরুদ্ধে আনেন মানহানির মামলা। সেই মানহানির মামলায় রায় এবার এল দিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের তরফে।