Covid-19 নেগেটিভ প্রমাণিত হয়েও গ🐷্রামে ঢুকতে পারলেন না অসমের তরুণ। বাধ্য হয়ে গাছের ওপরে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে শোনিতপুরের বাসিন্দা আমোশ বসুমাতারি🏅কে।
লকডাউনের জেরে গাড়ির আসন তৈরির কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে গত ২৬ মে চেন্নাই থেকে রাজ্যে ফেরেন পরিযায়ী শ্রমিক আমোশ। অসম সরকারের ন༺িয়ম অনুযায়ী ভিনরাজ্য থেকে ফেরা বাসিন্দাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন বাস আবশ্যিক। তবে যাঁদের করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফল পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের বাড়ি ফিরে ১৪ দিন বিচ্ছিন্ন থাকারꦓ নিয়ম রয়েছে।
অসমে ফেরার পরে প্রথমে ঢেকিয়াজুলিতে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকতে হয় বছর একু😼শের আমোশকে। তিন দিন পরে তিনি করোনা নেগেটিভ প্রমাণিত হলে সেখান থেকে ছাড়া পান। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের শংসাপত্র মানতে চাননি অসম-ꦗঅরুণাচল প্রদেশ সীমান্তের কাছে অবস্থিত তাঁর গ্রাম আনসাইপুরের বাসিন্দারা।
বাড়িতে য❀াওয়ার অনুমতি না দিয়ে আমোশের জন্য গ্রামের বাইরে গাছের উপরে মাচা বেঁধে থাকার ব্যবস্থা করে দেন গ্রামবাসী। সেখানেই ১৪ দিন থাকতে হচ্ছে এই তরুণকে।
সম্প্রতি লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে অসমজুড়ে। যার ফলে মাচার প্লাস্টিকের আচ্ছাদন ফুটো হয়ে জলে ভিজতে হচ্ছে আমোশকে। গ্রাম থেকে ২০ কেজি চাল দেওয়া হলেও রান্নার বাসনপত্র🧸ের অভাবে কোনও মতে ভাত রাঁধতে পারছেন। গাছের আশপাশ থেকে বুনো ওল, শাকপাতা জোগাড় করে ভাতের সঙ্গে ফুটিয়ে খেতে হচ্ছে। তবে গ্রাম থেকে রোজ পানীয় জল দিয়ে যাচ্ছেন আমোশের দাদা।
এত অসুবিধার মধ্যেও গ্রামবাসী বা প𓆉রিবারের উপরে এতটুকু ক্ষোভ নেই আমোশের। তাঁর কোয়ারেন্টাইন বাসের ফলে গ্রামের সকলে সুস্থ থাকবেন জেনে সাগ্রহে সব বাধা মেনে নিয়েছেন এই তরুণ।
আমোশের দু💎র্দশার কথা শুনে হতবাক ঢেকিয়াজুলির সার্কেল অফিসার কমলজ্যোতি বোরা। তাঁর দাবি, ভিনরাজ্য থেকে ফেরা বাসিন্দাদের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকার কুঁড়েঘর নির্মাণ করেছেন গ্রামবাসীরা। তা সত্ত্বেও কী কারণে এই তরুণকে এমন পরিস্থিতিতে থাকতে হচ্ছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।