চিকিৎসককে মেরেছিলেন মেয়ে। সেজন্য জনসমক্ষে ক্ষমা চাইলেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোর𒆙ামথাঙ্গা। তিনি বলেন, 'চি๊কিৎসক এবং সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি।'
রবিবার রাতের দিকে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মিজো ভাষায় একটি বিবৃতি জারি করে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, '(আক্রান্ত) চিকিৎসকের প্রতি আমাদের মেয়ে আচরণের স্বপক্ষে বলার মতো♐ কোনও ভাষা নেই।' সঙ্গে তিনি বলেন, 'ওই চিকিৎসক এবং তাঁর পরিবার অত্যন্ত হৃদয়বান। তাঁরা অনুভব করেছেন যে এটা আমাদের জন্য কতটা অস্বস্তিকর। আমাদের মতে, তাঁরা অত্যন্ত পরিণত এবং তাঁদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।'
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে দেখা যায়, ক্লিনিকের মধ্যে ✅এক চিকিৎসককে ঘুষি মারছেন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে। বিনা অ্যাপয়েন্টমেন্টে দেখতে অস্বীকার করার জন্য চিকিৎসককে ঘুষি মারেন বলে অভিযোগ। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, ক্লিনিকের এক ব্যক্তির সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছেন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে। জোরামথাঙ্গার মেয়েকে সামলানোর চেষ্টা কর꧂ছেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তিনি আটকে রাখতে পারেননি। ক্লিনিকের ভিতরে ঢুকে ওই চিকিৎসককে ঘুষি মারেন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে। তাঁকে কোনওক্রমে টেনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বুধবার সেই ঘটনা ঘটলেও ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্সোসিয়েশন (আইএমএ)। প্রতিবাদস্বরূপ শনিবার কালো ব্যাজ পরেন আইএমএয়ের মণিপুর শাখার সদস্যরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনা শুরু 🌄হয়। প্রবল চাপের মুখে রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষﷺমা চেয়ে নেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ না করায় আইএমএয়ের সদস্যদের ধন্যবাদও জানান।