দেশে জলসঙ্কট মোচনে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পকে কাজে লাগাতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার জলশক্তি অভিযান প্রকল্পের সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের বেশিরভাগ টাকা জল সংরক্ষণ ও সরবরাহের কাজে লাগানো হবে।বর্ষার মরশুম আসার আগে পর্যন্ত এই কাজ পুরোদমে চলবে।’ ১০০ দিনের প্রকল্পই দেশের জল সংকট দূর করতে সাহায্য করবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বাংলায় ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প অনেকদিন ধরেই চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার মমতা সরকারের আদলে এই একই ধরনের প্রকল্প সারা দেশ জুড়ে চালু করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী।এদিন ভিডিও কনফারেন্সিংযের মারফত জলশক্তি অভিযান প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী্। এই অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় জলশক্তি উন্নয়ন মন্ত্রী গজেন্দ্র শেখাওয়াত ছাড়াও হাজির ছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।দেশের নদীগুলির মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ স্থাপনই এই প্রকল্পের প্রাথমিক লক্ষ্য।এছাড়াও এই প্রকল্পের পরের ধাপের কাজ হল, বৃষ্টির জলকে ধরে রাখা। এরজন্য সারা দেশে ৭৩৪ টি জেলার ৬ লাখ গ্রামকে বেছে নেওয়া হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী এদিন জানান, বর্ষার সময়ে বৃষ্টির জল ধুয়ে বেরিয়ে যায়। এই প্রকল্পের লক্ষ্যই হল বৃষ্টির জলকে সংরক্ষণ করা।উল্লেখ্য, সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে ২৫৪টি জেলায় অতি জলসংকটের আশঙ্কা দেখা দেবে।পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে বেরিয়ে না যায়, সেজন্য এখন পুরোদমে কাজ শুরু করার বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী।এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশের উন্নয়ন ও আত্মনির্ভরতা অনেকটাই জলসম্পদের ওপর নির্ভরশীল।তাই বর্ষার সময় এক ফোঁটা বৃষ্টির জলও নষ্ট করা যাবে না।বৃষ্টির জলকে সংরক্ষিত করতে হবে। ১০০ দিনের কাজের জন্য বরাদ্দ টাকা অন্য কাজে নয়, জল সংরক্ষণের জন্য ব্যয় করতে হবে।মার্চ থেকে শুরু করে নভেম্বর পর্যন্ত এক টানা এই অভিযান চালাতে হবে দেশ জুড়ে।উল্লেখ্য, নীতি আয়োগের তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে জলের চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।সারা দেশে প্রায় ৬০ কোটি লোক প্রবল জলসংকটে ভুগবেন।২০৫০ সালের মধ্যে এই জলসংকটের কারণে দেশে ৬ শতাংশ জিডিপিতে ঘাটতি হতে পারে।