এতদিন পরিকল্পনার অভাবের অভিযোগ তুলছিলেন বিরোধীরা। এবার টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনলেন সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার (এসআইআই) এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সুরেশ যাদব। দাবি করলেন, নিজেদের ভাঁড়ারে কত করোনাভাইরাস টিকা আছে, সে বিষয়টি বিবেচনা না করেই একাধিক শ্রেণির মধ্যে টিকাকরণ শুরু করা হয়েছে। সঙ্গে পালন করা হয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশিকাও।স্বাস্থ্য সচেতনতা সংক্রান্ত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের ই-সামিটে সেরামের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর জানান, প্রাথমিকভাবে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। সেজন্য ৬০ কোটি ডোজ লাগত। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের আগেই ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে সকলের জন্য টিকাকরণ শুরু করে দেয় কেন্দ্র। তারপর শুরু হয়ে যায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে টিকাকরণ। অথচ ‘অত পরিমাণ টিকা যে নেই, তা ভালোভাবেই’ জানত কেন্দ্র। সেইসঙ্গে সুরেশের আক্ষেপ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশিকা পালন করা উচিত ছিল মোদী সরকারের। সেইমতো টিকাকরণ কর্মসূচি চালানোর প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন, ‘এটাই আমাদের সবথেকে বড় শিক্ষা। কোনও দ্রব্য কত আছে, সেটা আগে বুঝতে হবে। তারপর সেইমতো সেই দ্রব্য ব্যবহার করতে হবে।’সুরেশ জানান, করোনাভাইরাসের মোকাবিলার জন্য টিকাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু টিকা পাওয়ার পরও করোনাভাইাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। তিনি বলেন, ‘তাই সতর্ক থাকুন এবং করোনাভাইরাস সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে। যদিও ডবল মিউট্যান্ট ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের মোকাবিলা করা হয়েছে, অন্য প্রজাতিগুলি টিকাকরণের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, 'কোন টিকা বেছে নেওয়া হবে, সেই বিষয় বলতে গেলে যে টিকা পাওয়া যাবে, তা নেওয়া যেতে পারে। সেই টিকাকে অবশ্যই নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাড়পত্র পেতে হবে। কোনও টিকা কার্যকরী এবং কোনটি নয়, তা এত দ্রুত বলা সম্ভব নয়।'