জেলের মধ্যেই মৃত্যু হল ভাইজানের। আসল নাম ছিল আরিফ আবুবাকর শেখ ওরফে ভাইজান (৫৫)। এই ব্যক্তির আরও একটা পরিচয় আছে। যা সমাজের বুকে আতঙ্ক ফেলার মতো। কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী ছোটা শাকিলের শালা ছিল এই ভাইজান। নানা অপরাধের সঙ্গে♚ও জড়িত ছিল। খুন, তোলাবাজির অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। আর তাই তাকে রাখা হয়েছিল মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ভাইজানের। শুক্রবার বেশি রাতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়েছে ছোটা শাকিল। আর তাতে সে জোর ধাক্কা খেয়েছে। কারণ ছোটা শাকিলের সবচেয়ে কাছের ছিল তার শালা ভাইজান। সমস্ত খবর সে পৌঁছে দিত ছোটা শাকিলের কানে। আর ছোটা শাকিলের কথায় সে নানা কাজ করত। ছোটা শাকিলের একমাত্র আত্মীয় এই ভাইজানের পরিবার ভারতে থাকে। ছোটা শাকিল পলাতক হওয়ার পর থেকে এই ভাইজা🍸ন ভারত থেকে সমস্ত খবর তাকে সরবরাহ করত বল𝓀ে অভিযোগ। ভাইজানের বোন অর্থাৎ ছোটা শাকিলের স্ত্রী করাচিতে স্থায়ী থাকার বন্দোবস্ত করে নেয়।
আরও পড়ুন: ‘লোকেদের থেকে ট🧸াকা নেবেন, মদ মাংস খাবেন আর ভুক্তভুগী হবে দল?’ কড়া বার্তা ♍উদয়নের
অন্যদিকে এই আবহে ছোটা শাকিলের কার্যত ডানহাত হয়ে ওঠে ভাইজান। সে পরিবার নিয়ে থানের মিরা রোডে থাকত। কিন্তু ছোটা শাকিলের সঙ্গে যোগ থাকা এবং অপরাধ দুনিয়ায় বিচরণ করার জেরে তাকে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ গ্রেফতার করে। তারপর থেকে ভাইজানের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে যায় মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেল। সূত্রের খবর, সেখানেই ভাইজানের বুকে ব্যথা ওঠে এবং তাকে চিকিৎসার জন্য জে জে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার কথা তার আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যদের জানান🃏ো হয়েছে।
এছাড়া ভাইজানের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ২০০৬ সালে ভাইজান সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে গিয়ে বেআইনিভাবে বসবাস করতে শুরু করে। ২০২২ সালে ওখানে ভাইজানকে গ্রেফতার করা হয়। শাকিল এবং ভাইজান মিলে এক রিয়েল এস্টেট সংস্থার কর্তা জয়েশ শাহের বিরুদ্ধে ষড়যন♐্ত্র করেছিল। এই অভিযোগে ভাইজানকে গ্রেফতার করা হয়। তার সঙ্গে নানা অপরাধ করার অভিযোগ ছিল ভাইজানের বিরুদ্ধে। ছোটা শাকিলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল বলেও পুলিশ জানতে পারে। গ্রেফতার✱ হওয়ার পর মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে রাখা হয় ভাইজানকে।