পাশ দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে যাওয়ার সময় এমআরআই মেশিনে আটকে গেলেন অ্যাম্বুলেন্সের চালক। মহারাষ্ট্রের ভায়ান্দরে এই ঘটনা ঘটে। ভাগ্যক্রমে, ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সেভাবে আহত হননি। শুধু তাঁর ডান হাতের কড়ে আঙুল ভেঙে গিয়েছে।বুধবার ভায়ান্দরের 'প্রথম এমআরআই সেন্টারে' এই দুর্ঘটনা হয়। চালক বিক্রম অবনভ মিড ডে'কে জানান, 'আমি স্ক্যানের জন্য অ্যাম্বুলেন্সে এমআরআই সেন্টারে একজন রোগীকে নিয়ে এসেছিলাম। তাঁকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। অ্যাম্বুলেন্স থেকে রোগীকে নামিয়ে আমি কাঁধে করে অক্সিজেন সিলিন্ডার বয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম।' 'এমআরআইয়ের ঘরের দরজা খোলা ছিল। আমি তার পাশ দিয়েই সিলিন্ডার নিয়ে যাচ্ছিলাম। তখনই হঠাত্ যেন বৈদ্যুতিক শকের মতো প্রচন্ড ঝাঁকুনি হল। ভীষণ জোর টান পড়ল সারা দেহে। অক্সিজেন সিলিন্ডারটা আমার হাতে থাকাকালীনই আমি সবশুদ্ধ নিয়ে এমআরআই মেশিনে আটকে গেলাম,' জানালেন অবনভ।'আমার হাতের তালু মেশিনে আটকে গিয়েছিল। কোনওরকমে আমি আমার হাতটা ছাড়িয়ে রুম থেকে দৌড়ে পালালাম। ততক্ষণে সেখান থেকে রক্তক্ষরণ এবং প্রচন্ড যন্ত্রণা শুরু হয়েছে,' জানান তিনি। চেঁচামেচি শুনে, তথন কর্মীরা ছুটে আসেন। প্রাথমিক চিকিত্সার পরে, তাঁকে কাছের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার করা হয় এবং তাঁর দুর্ঘটনায় ভেঙে যাওয়া কড়ে আঙুলে রড বসানো হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমআরআই সেন্টারের কর্মীরা জানিয়েছেন, যথেষ্ট সংখ্যক প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান নেই। ফলে এমআরআই মেশিন সর্বক্ষণ দেখভাল করা, কন্ট্রোল রুমে সর্বক্ষণ থাকার লোক নেই। যার ফলে এমন দুর্ঘটনা। এমআরআই সেন্টারের মালিক ডঃ এনজি চৌহান যদিও ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যম মিড-ডেকে বলেন, 'আমাদের এমআরআই সেন্টারে তেমন কিছুই হয়নি, কেউ আহতও হননি।'তিনি জানান, 'একটি ছোটো লোহার টুকরো মেশিনে আটকে গিয়েছিল। আমরা সেটা সরিয়েও ফেলেছি।' তবে এমআরআই কেন্দ্রের রেডিওলজিস্ট ডঃ দিলীপ পাওয়ার বলেন, 'একজনের হাতে সামান্য ঘষা লেগেছে। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।'