দানিশ মার্চেন্ট ಌওরফে দানিশ চিকনা! শুক্রবার মুম্বই থেকে তাকে গ্রেফতার কর🎃া হয়েছে। কিন্তু, কে এই দানিশ চিকনা? আর কেনই বা তাকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ?
বিভিন⛎্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এবং পুলিশের দাবি মোতাবেক, এই দানিশ হল গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের খাস লোক! শুধু তাই নয়। আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম যে বেআইনি মাদকের কারবার চালায় বলে অভিযোগ, এই দানিশই নাকি সেই মারণ চক্রের অন্যতম সহযোগী।
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, মূলত মুম্বইয়ে ডোংরি এলাকায় দাউদের মাদকের কারবার দেখভাল ও পಞরিচালনা করার দায়িত্ব ছিল এই দানিশের উপর। শুক্রবার শুধুমাত্র তাকেই গ্রেফতার করা হয়নি। একইসঙ্গে, তার এক সহযোগীকেও পাকড়াও করা হয়েছে। সেই ব্যক্তির নাম কাদের গুলাম শেখ।
মুম্বই পুলিশের সূত্র উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, পুলিশের খাতায় অনেক আগেই নাম তুলে ফেলেছিল এই দানিশ। মাদক মামলায় সে ছিল অন💫্যতম 'ওয়ান্টেড'। ফলত, তাকে ধরতে পারাটা মুম্বই পুলিশ🌄ের বড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দানিশকে বাগে পেতে গত প্রায় একমা⭕স ধরে তদন্ত চালিয়েছেন মুম্বই পুলিশের গোয়েন্দারা। গত মাসে তাঁদের হাতে ধরা পড়ে দুই ব্যক্তি। তাদের নাম - মহম্মদ আশিকুর রহমান এবং রেহান শাকিল আনসারি।
এই দু'জনকে ধরার পর থেকেই দানিশকে ধরার জন্য๊ কোমর বাঁধতে শুরু করেন মুম্বই পুলিশের গোয়েন্দারা। সেই ꦓমতোই এগোয় তদন্ত। অবশেষে প্রায় মাসখানেক পর আসে সাফল্য।
পুলিশ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, মাদকের কারবারের তদন্তের অধীনে একের পর এক অভিয💯ুক্তদের পাকড়াও করা হচ্ছে।🌸 যার শুরুটা হয়েছিল গত ৮ নভেম্বর। ওই দিন মেরিন লাইন্স স্টেশনের কাছেই ১৪৪ গ্রাম মাদক-সহ রহমানকে পাকড়াও করা হয়।
এরপরꦬ রহমানকে জেরা করেꦜ পুলিশ জানতে পারে, ওই মাদকের উৎসস্থল হল ডোংরি এলাকা। রহমানের দাবি ছিল, সেখানে আনসারি নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সে ওই মাদক এনেছে।
এই তথ্য পাওয়ার পরই আনসারিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কা𝄹ছ থেকে আরও ৫৫ গ্রাম মাদক উদ্ধার🎃 করা হয়। গ্রেফতার হতেই মাদক কারবারের দায় নিজের ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করে আনসারি।
সে জানায়, তাকে এই মাদক এনে দিয়েছে 🐈দানিশ মার্চন্ট ওরফে দানিশ চিকনা এবং তার এক সহযোগী কাদের গুলাম শেখ ওরফে কাদের ফান্টা।
এরপর টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে চিকনা এবং ফান্টার সন্ধানে নানা জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। ১৩ ডিসেম্বর শেষমেশ গোপন সূত্রে খবর আসে, এই দুই অভিযুক্তকেই ডোংরি এলাকায় দেখা গিয়েছে এবং ত📖ারা 𒆙আপাতত সেখানেই রয়েছে।
এরপরই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। তাতেই দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করা সম্ভব হবে। পুলিশের দ𓄧াবি, ধরা পড়ার পর তারা দু'জনই স্বীকার করেছে যে তারা মাদক কারবারের সঙ🥂্গে যুক্ত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ꦏএই ডোংরিতেই দাউদ ইব্রাহিমের মাদকের কারখানা গুঁড়িয়ে দিয়েছিল এনসিবি। সেই সময় ঘটনাস্থল থেকে কোটি কোটি টাকার মাদকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। সেই সময়ে এই দানিশ চিকনা রাজস্থানে গ্রেফতার হয়ে জেল খা🍎টছিল। সম্প্রতি সে জেল থেকে ছাড়া পায়।