কানপুর ওয়াজিদপুরের জজমাউতে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সঙ্ঘর্ষের জেরে মৃ🍌ত্যু হয় এক ২৫ বছর বয়সী👍 যুবকের। রবিবার রাতের সেই ঘটনার জেরে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা। ওয়াজিদপুরে ওই প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। একইসঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সংস্ﷺথা এএনআই জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে টুইট করে বলা হয়, ‘গতকাল কানপুরের চকেরি থানা এলাকায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।’
অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে পুলিশের— এই অভিযোগ তুলে সোমবার দেহ নিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধরা। রাস্তা আটকে কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে সেই প্রতিবাদ। বিক্ষোভকারীদের আয়ত্তে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের। পরে তাঁরা সুবিচারের আশায় আশ্বস্ত হয়ে কঠোর 🐠নিরাপত্তার মধ্যে সিদ্ধান্ত ঘাটে দেহ সৎকার করেন।
কানপুর পূর্বের পুলিশ সুপার রাজকুমার আগরওয়াল জানিয়েছেন, পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইনে (এনএসএ) মামলা করা হবে। আরও কিছু লোকজনকে চিহ্ন♍িত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় নিয়মিত টহল দিচ্ছে পুলিশ বাহিনী।
ওয়াজিদপুরের দুই বাসিন্দা অমন ও পিন্টা নিশাদের মধ্যে প্রথমে ঝামেলা বাধে। তা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। এর পরই রবিবার রাতে দুই গোষ্ঠীর লোকজন সঙ্ঘর্ষে 🍌জড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, সামান্য ব্যাপার নিয়ে পিন্টুকে কটাক্ষ করতে থাকে অমন ও বন্ধুরা। তা থেকে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় পিন্টুকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করা হয় লালা লাজপত রাই হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্য🌊ু হয় পিন্টু নিশাদের।
পিন্টুর মৃত্যুতে এলাকার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রণক্ষেত্র বেধে যায়। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পুলিশ জানিয়েছে, এই সঙ্ঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন দু’জন। যদিও এলাকাবাসীর দাবি, এদিনের ঘটনায় আহত হয়েছে ১৫ জনেরও বেশি। পরে পুলিশ মহম্মদ মহসিন, সরফরাজ আলম, মেরাজ ও অনজুম নামে চারজনকে গ্রেফতার। এফআইআরে তাদের বিরুদ্ধে খুন ও হিংসার অভিযোগ আনা হয়েছ💎ে।
জানা গিয়েছে, ঘটনার জেরে জজমাউ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ অনুর🍨াগ সিং এবং কনস্ট🃏েবল রাজবীরকে সরানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ইউপি ১১২ আপৎকালীন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কনস্টেবলদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।
কিন্তু পুলিশ–প্রশ🌸াসন এ সব পদক্ষেপের পরও পরিস্থিতির বদল হয়নি ওয়াজিদপুরের। ময়নাতদন্ত হয়ে যাওয়ার পরꦏ দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। আর তার পর তাঁরা সেই দেহ ওয়াজিদপুরের রাস্তায় রেখে পথ অবরোধ করতে শুরু করে। অভিযোগ তোলা হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দ্রুত ঘটনার খবর জানানো হলেও সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। উত্তপ্ত পরিবেশে লোকজনের জটলা হতে দেখেও পুলিশ ꦺপরিস্থিতি মোকাবিলায় এগিয়ে আসেনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে যে কানপুর পূর্বের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছেಞ।
এদিকে, সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের দাবি, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ–সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়ন রয়েছে। ইতিমধ্যে মৃতের পরিবারের সঙ্গ𝔍ে দেখা করেছেন মন্ত্রী সতীশ মাহানা। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয☂়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।