প্রতিবেশী দেশের সামরিক বিমান ভেঙে পড়ল ভারতের মাটিতে। বিমানটিতে ১৪ জন যাত্রী ছিল বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আজ সকাল ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে মিজোরামের লেংপুই বিমানবন্দরে। এদিকে বিমানের যাত্রীদের মধ্যে ৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মিজোরামের ডিজিপি জানান, আহতদের লেংপুই হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, বিমানবন্দরে অবতরণ করতে গিয়ে পিছলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বিমানটি। সম্প্রতি মায়ানমারে বিদ্রোহীদের তীব্র আক্রমণের মুখে পড়ে সীমান্ত পার করে ভারতে অনুপ্রবেশ করছে মায়ানমারের সেনা। এর মধ্যে মায়ানমার সেনার ১৮৪ জন সদস্যকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারত। তাঁদের কয়েকজনকে উদ্ধার করে দেশে ফেরাতে মিজোরামে এসেছিল সেই বিমানটি। (আরও পড়ুন: ফের মা হল নামিবিয়া থেকে আসা '🐠জ্বলা', কুনোয় জন্ম নিল ৩ চিতা শাবক)
আরও পড়ুন: হংকংকে হারিয়ে বিশ্বের চতুর্থ 🦂বড় শেয়ার বাজার ভারত, আজও ঊর্ধ্বমুখে ল🎃াফ সেনসেক্সের
এর আগে সম্প্রতি মস্কো যাওয়ার পথে আফগানিস্তানের পাহাড়ে ভেঙে পড়েছিল একটি যাত্রীবাহী বিমান। প্রাথমিক ভাবে তালিবানের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানটি ভারতীয়। তবে পরবর্তীকালে এই নিয়ে মুখ খুলে কেন্দ্রীয় সরকাꦅর জানায়, বিমানটি ভারতীয় ছিল না। কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক সেই দুর্ঘটনা নিয়ে বিবৃতি জারি করে বলে, আফগানিস্তানের পাহাড়ে ভেঙে পড়া বিমানটি ভারতীয় নয়। এই নিয়ে বিবৃত🐼ি জারি করে ডিরেক্টোরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশনও। তারা জানায়, ডিসি ১০ মডেলের যে ছোট বিমানটি আফগানিস্তানের পাহাড়ে ভেঙে পড়ে, সেটি মরোক্কোতে রেজিস্টার করানো।
পরে রুশ অসামরিক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ জানায়, ভারত থেকে রাশিয়া যাত্রা করা একটি বিমানের সঙ্গে গত শনিবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বি𓆏মানটি ফ্রান্সে তৈরি দাসোঁ ফ্যালকন ১০ জেট। সেই বিমানে নাকি ৬ জন যাত্রী ছিলেন। ভারত থেকে উজবেকিস্তানের ওপর দিয়ে সেই বিমানটি মস্কো যাচ্ছিল বলে জানায় রাশিয়ার সরকার। ভারতে জ্বালানি ভরার জন্য বিমানটি নেমেছিল। পরে বাদাখশানের ওয়াখান অঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়ে ভেঙে পড়ে যাত্রীবাহী বিমানটি। বাদাখশান প্রদেশের তালিবানের তথ্য ও সংস্কৃতির দফতরের প্রধান জাবিউল্লাহ আমিরি দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তালিবানের তরফ থেকে দাবি করা হয়, বিমানটি ভারতীয় ছিল। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক থেকে দাবি নাকচ করা হয়। যাত্রীবাহী বিমানটি তোপখানেহ পর্বতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। করণ, মানজান এবং জিবাক জেলা জুড়ে এই পর্বত বিস্তৃত। এদিকে এই বাদাখশান প্রদেশ হল🍃 চিন, তাজাকিস্তান এবং পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকা ঘেঁষা।