আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা আন্দোলন এখন শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। তার প্রেক্ষিতে এবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামল ছাত্র সমাজ। আজ, মঙ্গলবার তাদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল। একদিকে ছাত্র সমাজ অশান্তি তৈরি করল ব্যারিকেড ভেঙে ও ইট ছুড়ে। অপরদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাসের শেল এবং জলকামান ব্যবহার করল। এবার এই ঘটনা নিয়ে 🦩বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নড্ডা।
‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’–এর ব্যানারে আজ, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানকে ‘রক্তক্ষয়ী’ করার চক্রান্তের হদিশ পায় পুলিশ। ‘বডি না পড়লে’ আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানো যাবে না—ঘাট🐷ালের তিন বিজেপি নেতার কথার ভাইরাল ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল) সামনে এসেছিল। তারপরও পুলিশ সংযত হয়ে এই মিছিল মোকাবিলা করেছে। যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের ছাড়াতে বিজেপি এখন লালবাজারে গিয়েছে। তবে বনধ নিয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগামীকাল বাংলা বনধ হবে না। বিজেপির প্রস্তাবিত বাংলা বনধ রুখতে সবরকম ব্যবস্থা নেবে সরকার।’ কিন্তু জেপি নড্ডার অভিযোগ, পুলিশের ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ করেছে। এই ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন।
ইতিমধ্যেই তিন বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘাটালের বিজেপি নেতা সৌমেন চট্টোপাধ্যায়, বাবলু গঙ্গোপাধ্যায় এবং চন্দ্রকোনার মণ্ডল বিজেপি সভাপতি বিপ্লব মালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ম🐽িছিল নিয়ে কুণাল ঘোষের কটাক্ষ, ‘আজকের অরাজকতা দিল্লির নিয়ন্ত্রণে হয়েছে। এটা একটা বড় চক্রান্ত। এটা নবান্ন অভিযান না সমাজবিরোধীদের অভিযান। বিজেপি বাংলায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। তাই এই বনধকে ব্যর্থ করতে জনজীবন স্বাভাবিক রাখার আর্জি জানাচ্ছি।’ পাল্টা এক্স হ্যান্ডেলে জেপি নড্ডা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন এবং পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।
আরও পড়ুন: ‘এই বনধকে বাংলার মানুষ ব্যর্থ করবেই’, বিজেপিকে তুলোধ🔯না করে বার্তা দিলেন কুণাল
আজ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান হয়। সেখানেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এখানে ছাত্র সমাজের ব্যানারে থাকা ছাত্ররা যেমন জখম হয়েছেন তেমন পুলিশও রক্তাক্ত হয়েছে। এই বিষয়ে জেপি নড্ডা নবান্ন অভিযানে আন্দোলনকারীরা আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশকে আক্রমণ করেছেন। এক্স হ্যান্ডলে জেপি নড্ডা লেখেন, ‘যেসব সাধারণ মানুষ গণতান্ত্রিক নীতিকে মূল্য দেন, কলকাতায় পুলিশꦇের স্বেচ্ছাসারিতার এই ছবি তাঁদের মনে ক্ষোভ তৈরি করেছে। দিদির বাংলায় ধর্ষক এবং অপরাধীদের সাহায্য করলে গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে আওয়াজ তুললে সেটা অপরাধ।’