প্রধানমন্ত্রী মোদী আজ আইএনএস বিক্রান্তকে কমিশন করেন এবং এই স্বপ্ন পূরণের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তিকে অভিনন্দন জানালেন। এই কৃতিত্ব অর্জনের আবহে আজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আইএনএস বিক্রান্তে ব্যবহৃত ইস্পাত ভারতে তৈরি। আইএনএস বিক্রান্তে ব্যবহৃত তারগুলি কোচি থেকে কাশী পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। আইএনএস বিক্রান্ত দুটি ফুটবল মাঠের মতো বড়। এটি যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে তা পাঁচ হাজার ঘরকে আলোকিত করতে পারে।’ (আরও পড়ুন: কেরলের উপকূলে তৈরি হল ইতিহাস, ভারতে তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরীকে চিনে নিন)
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ ভারত সেই দেশগুলির তালিকায়𝔍 নাম লেখাল যারা নিজেদের দেশীয় প্রযুক্তিতে এত বড় বিমানবাহী রণতরী তৈরি করে। আজ আইএনএস বিক্রান্ত ভারতের মধ্যে এক নয়া আস্থার সঞ্চার করেছে... এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে, আমি ভারতীয় নৌবাহিনী, কোচি শিপইয়ার্ডের সমস্ত ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী এবং কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘বিক্রান্ত বৃহৎ, বিক্রান্ত স্বতন্ত্র, বিক্রান্ত বিশেষ। বিক্রান্ত শুধু একটি যুদ্ধজাহাজ নয়, এটি ২১ শতকে ভারতের কঠোর পরিশ্রম, প্রতিভা, প্রভাব এবং প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।’ প্রধা🌳নমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘কেরলের সমুদ্র উপকূল থেকে একটি নতুন ভবিষ্যতের সূর্যোদয়ের সাক্ষী হচ্ছেন প্রতিটি ভারতীয়। আইএনএস বিক্রান্তের এই অনুষ্ঠানটি ꦉবিশ্ব দিগন্তে ভারতের মনোবল শক্তিশালী করার আহ্বান।’
আজকে থেকে যাত্রা শুরু হল ভারতে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তের। 𝔉মোট ২০ হাজার কোটি টাকা খরচে তৈরি এই রণতরীতে ৩০টি বিমান ওঠানামা করতে পারবে। মিগ-২৯কে-র মতো যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারবে বিক্রান্তে। তাছাড়া কামোভ ৩১ হেলিকপ্টার, এম এইচ ৬১ মাল্টি রোল হেলিকপ্টার এই যুদ্ধ জাহাজ থেকে রওনা হতে পারে। এই রণতরী নির্মাণ করতে এক দশকেরও বেশি সময় লেগেছে।