ইন্টারনেটের উপর নিয়ন্🐷ত্রণ ও সাইবার ক্রাইমের মোকাবিলা করতে নয়া 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া' বিল পেশ করতে চলেছে কেন্দ্র। শুক্রবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, ডিজিটাল ইন্ডিয়া বিল নিয়ে চলতি মাস থেকেই বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে। তারপর শীঘ্রই পেশ করা হবে সংসদে। সেই বিল যদি আইনে পরিণত হয়, তাহলে পর্ন, শিশুদের যৌন নিগ্রহ সংক্রান্ত বিষয়, ধর্মীয় উস্কানিমূলক বিষয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ানোর মতো ১১ টি বিষয়ের ক্ষেত্রে ‘ছাঁকনি’ বসানো হবে। অর্থাৎ ওই ১১ টি বিষয়কে ‘ব্যান’ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, '১১ টি এমন বিষয় আছে, যা আমরা ইন্টারনেট দুনিয়ায় চাই না। সেই তালিকায় আছে শিশুদের যৌন নিগ্রহ সংক্রান্ত জিনিসপত্র, ধর্মীয় উস্কানিমূলক জিনিস, স্বত্ব লঙ্ঘনকারী বিষয়, ভুয়ো খবরের মতো বিষয়গুলি।' সেꦚইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পর্ন, বিভ্রান্তিকর বিষয়বস্তু, কম্পিউটার ম্যালওয়ার, পরিচয় গোপন রেখে জালিয়াতি, ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতা বিরোধী বিষয়বস্তু, নিষিদ্ধ অনলাইন গেম এবং বেআইনি যে কোনও বিষয়বস্তুর উপর লাগাম টানা হবে।
আরও পড়ুন: WhatsApp-এ 🌳প্রতারণা করতে এসে দার্শনিক হয়ে গেলেন স্ক্যামার! দিলেন জীবন শিক্ষা
কিন্তু যে ১১ রকম বিষয়ের কথা বলছেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী, তা তো ২০২১ সালের তথ্যপ্রযুক্তি নিয়মে অন্তর্ভুক্ত আছে। তাহলে কেন আবার বিল পেশ করা হচ্ছে? সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, যে ১১ টি বিষয়ের ক্ষেত্রে লাগাম টানতে চাইছে কে🍷ন্দ্র, তা বর্তমান যুগে ইন্টারনেট দুনিয়ায় অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। সেই পরিস্থিতিতে যে সব সংস্থা ওরকম বিষয় বা ‘কনটেন্ট’ নিয়ে আসবে বা দেখাবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রের হাতে একটি নির্দিষ্ট আইন থাকা প্রয়োজন। পুরো বিষয়টি নির্দিষ্ট আইনি কাঠামোয় আওতায় এলে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে কেন্দ্র। রাশ টানা যাবে সেইসব বিষয়বস্তুর উপর।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেন, বর্তমানে ইন্টারনেট দুনিয়ায় যে যে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হচ্ছে, সেটার জন্য দায়ী হল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার। তাঁর মতে, ২০০৮ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বড়-বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা এবং সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাকে কার্যত রক্ষাকবচ প্রদান করা হয়েছে। তার ফলে ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় এসেছে, তখন একটা ‘বিষাক্ত’ ইন্টারনেট সিস্টেমের মধ্যে ছিল ভারত। সেই পরিস্থিতি থেকে নেট দুনিয়াকে সুরক্ষিত করে তুলতে🍒 মোদ💫ী সরকার বদ্ধপরিকর বলে দাবি করেছেন চন্দ্রশেখর।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT Ap꧒p থেকেও। 🐲এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক