হরিয়ানার নয়া মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন নায়েব সাইনি। বিজেপির বিধায়ক জে পি দালাল জানিয়েছেন যে সাইনিকে সর্বসম্মতভাবে নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছে গেরুয়া শিবিরের পরিষদীয় দল। আজ বিকেল পাঁচটায় তিনি শপথগ্রহণ করবেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, জননায়ক জনতা পার্টির (জেজেপি) সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরার ফলে জাঠ ভোটব্যাঙ্কে যে ধাক্কা লাগতে পারে, সেটা পুষিয়ে নিতেই ওবিসি নেতা সাইনিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ব🍒েছে নেওয়া হয়েছে। হরিয়ানায় বিজেপির ব্রাহ্মণ, ব্যবসায়ী ও পঞ্জাবিদের ভোটব্যাঙ্ক এমনিতেই মজবুত। দুষ্মন্ত চৌতালার নেতৃত্বাধীন জেজেপির সঙ্গে জোটের সুবাদে জাঠ ভোট টানত বিজেপি। কিন্তু লোকসভা ভোটের আসন বণ্টন ঘিরে জেজেপির সঙ্গে সংঘাতের জেরে জাঠ ভোটব্যাঙ্কে ধাক্কা লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে একজন ওবিসি নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি হরিয়ানার ওবিসি-সহ জাঠ ছাড়া অ⭕ন্যান্য সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করার ছক কষল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
অর্থাৎ হরিয়ানার রাজনীতিতে জাঠ ভোটব্যাঙ্কের গুরুত্ব অপরিসীম হলেও আক্রমণাত্মক পথেই হাঁটল বিজেপি। তাছাড়া হরিয়ানায় সাইনি সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা নেহাত কম। প্রায় আট শতাংশ মানুষ সাইনি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। কুরুক্ষেত্র, আম্বালা, যমুনানগর, হিসার, রেওয়ারির মতো জেলায় প্রচুর সাইনি সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন। নায়েবকে মুখ্যমন্ত্রী করার ফলে সেই আট শতাংশ ভোটের অনেকটাই বিজেপি নিশ্চিত করে ফಌেলেছে বলে ধ💮ারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।
কে এই নায়েব সাইনি?
১) ১৯৯৬ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সাইনি। বিজেপির সংগঠনের কাজে যুক্ত ছিলেন। ২০০২𒉰 সালে আম্বালায় বিজেপির যুবমোর্চার জেলা 💟সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তিন বছর পরেই জেলা সভাপতির পদে প্রমোশন হয়েছিল।
২) ক্রমশ বিজেপিতে উত্থান হতে শুরু করেছিল সাইনির। ২০০৯ সালে হরিয়ানায় বিজেপির কিষান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। ২০১২ সালে আম্বালার বꦚিজেপির জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
৩) ২০১৪ সালে হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন সাইনি। নারায়ণগঢ় থেকে জিত🌠েছিলেন। ২০১৬ সালে হরিয়ানা সরকারে মন্ত্রী হয়েছ🌳িলেন।
৪) ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কুরুক্ষেত্র থেকে ৩.৮৩ লাখ ভোটে জিতেছিলেন সাইনি। হারিয়েছিলেন কংগ্রেসের নির্মল সিꦕংকে।
৫) ২০২৩ সালের অক্টোবরে সাইনিকে হরিয়ানা বিজেপির রাজ্য 🎀সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। জাঠ ছাড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের ভোটব্যাঙ্ক মজবুত করতেই সেই পদক্ষেপ করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।