সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকায় (NEET-UG) যে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে, সেটা নিয়ে কোনও ধন্দ নেই। নিজে সেই বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ সলিসিটর জেনারেল তথা নিটের আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) আইনজীবী তুষার মেহতা। সেই পরিস্থিতিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি লুকিয়ে রাখার চেষ্টা না করে সেটার মাত্রা কত বেশি ছিল, তা নির্ধারণ করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার শীর্ষ আদালতে নিট মামলার শুনানিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, 'একটা বিষয় একদম স্পষ্ট যে (প্রশ্নপত্র) ফাঁস হয়েছে। বাস্তবটা🔯 হল যে পরীক্ষার পবিত্রতার সঙ্গে আপস করা হয়েছে, সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এখন প্রশ্নটা হল যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাত্রাটা কত ছিল?' তিনি জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাত্রা কতটা ছিল, সেটা নতুন করে নিট পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার আগে নির্ধারণ করতে হবে। কারণ সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কোন মামলার প্রেক্ষিতে সেই মন্তব্য করেছে শীর্ষ আদালত?
নিট নিয়ে অনেক পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। সেগুলি একসঙ্গে শুনছে ভারতের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পাদ্রꦜিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। মূল বিষয়টি নিট হলেও কয়েকটি পিটিশনের প্রেক্ষিত কিছুটা আলাদাও আছে। যেমন এক🅰টি বিষয় হল যে কারচুপির জন্য পুরো নিট পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হোক। নতুন করে নেওয়া হোক নিট পরীক্ষা। আবার শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ আরও একটি মামলা শুনছে, যে মামলায় গুজরাটের ৫০ জন প্রার্থী আর্জি জানিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় সরকার এবং এনটিএ যেন নতুন করে নিট পরীক্ষা না নেয়।
নতুন করে NEET পরীক্ষা নেওয়া হবে?
গত ৫ মে যে নিট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেটা আজ বাতিল করেনি সুপ্রিম কোর্ট। বরং শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তটা একেবারে শেষ বিকল্প হবে। আর সেটার জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপকতা জানতে হবে। ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেছেন, 'যদি প্রার্থীদের পরীক্ষার সকালে প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করতে বলা হয়, তাহলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপকতা হয়তো অতটা বেশি হবে না। কোন প্রার্থী কারচুপি করেছেন, সেটা যদি আমরা চিহ্নিত করতে না পারি, তাহলে ন𓂃তুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিতে হবে।'
গুজরাটের প্রার্থীদের ভিত্তিতে কী বলেছে সুপ্রিম কোর্ট?
নতুন করে নিট পরীক্ষা নেওয়ার যে আর্জি জানিয়েছেন গুজরাটের ৫০ জন প্রার্থী, সেটার প্রেক্ষিতে সোমবার সুপ্রিম✃ কোর্টে তাঁদের আইনজীবী জানিয়েছেন যে মা🤡নসিক চাপের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। সেই সওয়ালের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত বলেছে যে ‘ঠিক আছে। আবেগের কোনও জায়গা নেই।’