জাতীয় মহিলা কমিশনের নতুন চেয়ারপার্সন বিজয়া কিশোর রাহাতকর। এর আগে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ছিলেন রেখা শর্মা। এবার সেই জায়গায় বসছেন বিজয়া কিশোর। তবে তাঁকে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসাবে নাম ঘোষণা করার পরে নতুন করে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে। সূত্রের খবর, বিজয়া কিশোরের সঙ্গে বিজেপির একেবারে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বিজেপির জাতীয় সম্পাদক পদেও রয়েছেন। সেক্ষেত্রে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন পদে বসার পরে তিনি কতট🅷া নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে 🤪পারবেন তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে।
মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন পদে শ্রীমত♏ি বিজয়া কিশোর রাহাতকরকে নি🦩যুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্ওয সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মহিলা কমিশনের নতুন চেয়ারপার্সনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন শ্রীমতি বিজয়া রাহাতকরকে অভিনন্দন। 🌌ন্যাশানাল কমিশন ফর ওমেনের চেয়ারপার্সন করা হয়েছে বিজয়া রাহাতকরকে। তাঁর সাফল্য কামনা করছি। তিনি মহিলাদের অধিকারকে রক্ষা করবেন দেশ জুড়ে।
সেই সঙ্গে অপর একটি টুইট করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি লিখেছেন, জাতীয় মহিলা কমিশনের স🃏দস্য করা হয়েছে ডাঃ অর্চনা মজুমদারকে। লিঙ্গসাম্যতা, মহিলাদের অধিকারকে রক্ষা করার মতো কাজে তিনি নিয়োজিত হবেন। তাঁর এই নতুন কাজের সাফল্য কামনা করছি। লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, জাতীয় মহিলা কম🅠িশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া বিজেপি নেত্রী হিসাবেই পরিচিত। আবার অর্চনা মজুমদারও বাংলার বিজেপি নেত্রী হিসাবেই মূলত পরিচিত। এমনকী অর্চনা মজুমদার নিজে ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাজে নিরপেক্ষতা কত🃏টা বজায় থাকবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
এদিকে বিজয়া নিজেও দীর্ঘদিন বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। তিনি বিজেপির জাতীয় সম্পাদক পদে রয়েছেন। ২০০৭ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি তৎকালীন ঔরঙ্গাবাদের মেয়র ছিলেন। ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাജল পর্যন্ত মহিলা মোর্চার সর্বভারত🅺ীয় সম্পাদক ও ২০১৪ সালে তিনি মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন। সেই বিজেপি নেত্রীই এবার মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসাবে নিযুক্ত হলেন।
এদিকে জাতীয় মহিলা কমিশনের কাজে নিরপেক🐎্ষতা চান সাধারণ মানুষ। সেক্ষেত্রে দলীয় বাধ্যবাধ্যকতার উর্দ্ধে গিয়ে তিনি কতটা নিরপেক্ষভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন তা নিয়ে কয়েকটা প্রশ্ন 🦂থেকেই গিয়েছে।