তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে এবার বিরাট আশার কথা শোনালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ🍒ের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সে দেশের সরকার তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের বৈদেশিক সাহায্য অনুসন্ধান কমিটির ৫১ তম সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত করা হয়েছে 🦹যে এই কমিটি বাস্তবায়নের জন্য চিন সরকারের কাছে সহজ শর্তে ঋণ চাওয়া হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে এনিয়ে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। কুড়িগ্রাম কেন্দ্রের সাংসদ হামিদুল হক খন্দকার এই সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন। এরপরই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানি𝓰য়ে দেন, তিস্তা মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চিন সরকারের আর্থিক সহায়তার সমীক্ষা সম্পন্ন করে পিডিপিপি -এর বিষয়ে💮 চিন সরকারের মূল্যায়ন প্রতিবেদন ২০২৩ সালের ৫ মার্চ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এই প্রতিবেদনে বড় আকারের ভূমি উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং নৌ চলাচল ব্যবস্থার উন্নয়নের বিষয়ে অধিকতর বিশ্লেষন না থাকা এবং বড় আকারের বিনিয়োগের বিষয়গুলো উল্লেখ করা আছে।
শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ২০২০ সালের অগস্টে চিন সরকারের আর্থিক সহায়তায় সমীক্ষা সম্পন্ন করে প্রায় ৮২১০ কোটি টাকার পিডিপিপি বা প্রফেꦿশনাল ডিপ্লোমা ইন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট দেওয়া হয়েছিল ইআরডিতে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইআরডির বৈদেশিক সাহায্য অনুসন্ধান কমিটির🍬 ৫১তম সভায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের স্বার্থে সহজ শর্তের ঋণ পেতে চিন সরকারকে অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেই সঙ্গেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, পাওয়ার চায়না কর্তৃপক্ষ চিনের সরকারের নির্দেশ মোতাবেক গত বছরের ২৭ অগস🔥্ট ফিজিবিলিটি স্টাডি রিপোর্ট সংশোধনের প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশে জল উন্নয়ন বোর্ড। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী কার্যক্রম বাস্তবায়িত করা হচ্ছে।
এদিকে আগামী মাসেই বেজিং সফরে যেতে পারেন বাংলাদেশের প্র𓆉ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সময় দুদেশের মধ্য়ে এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে বলে খবর। এদিকে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা নিয়ে অন্তত এক দশক আগে ঢাকার তরফে বেজিংকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তার পরেই তিস্তার গতিপথে সমীক্ষা চালিয়ে খসড়া তৈরি করে জমা দি🦹য়েছিল চিন।
তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে বার 💟বারই তাড়া দেয় চিন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিস্তা প্রকল্পে বিনিয়োগ ও প্রযুক্তিগত সহায়তার কথা জানিয়েছিল চিন। এনিয়ে আগেই আপত্তির কথা জানিয়েছিল নয়া দিল্লি🎶। ভারতও এই প্রকল্পে অর্থ দিতে চাইছে।