আবার বাংলায় বন্দে ভারত। রেল যোগাযোগে আবার গতি আসছে বাংলায়। ঝাঁ চকচকে বন্দে ভারত আসছে বাংলায়। দুটি ট্রেনই পাটনা থেকে ছাড়বে। লখনৌ -অযোধ্যার মধ্যে যোগসূত্র গড়বে। তেমনি পাটনা ও শিলিগুড়ির সঙ্গে এই বন্দে ভারত যোগসূত্র গড়ে তুলবে। রাজধানীর চেয়েও দ্রুতগতিতে ছুটবে এই মেট্রো। বেশ দীর্ঘপথেই এই বন্দে ভারত চালানো হবে সেই নিরিখে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রুট।তবে অপর একটি সূত্র বলছে একটি হাওড়া থেকে অপরটি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে বন্দে ভারত ছাড়ার প্রস্তাবও রয়েছে। সম্প্রতি মুজফ্ফরপুরের বিজেপি সাংসদ অজয় নিশাদ বাংলার মধ্য়ে দিয়ে দুটি বন্দে ভারত চালানোর দাবি তুলেছিলেন। বিহার থেকে বাংলার মধ্য়ে বন্দে ভারত। সেই প্রস্তাব কার্যকরী হলে আরও সুবিধে হবে। মুজফ্ফরপুর থেকে হাওড়া, মুজফ্ফরপুর থেকে রাঁচি, মুজফ্ফরপুর থেকে নিউ জলপাইগুড়ি ও মুজফ্ফরপুর থেকে লখনউ পর্যন্ত বন্দে ভারত চালানোর দাবি তুলেছিলেন তিনি। এদিকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে পাটনা পর্যন্ত বন্দে ভারতের কথাও শোনা যাচ্ছে। মাত্র ৭ ঘণ্টায় এই বন্দে ভারত পেরিয়ে যাবে ৪৭১ কিমি। এককথায় একেবারে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে পৌঁছে যাওয়া যাবে বহু দূরের গন্তব্যে। এনজেপি থেকে পাটনা। সূত্রের খবর, সকাল ৬টার সময় এনজেপি থেকে ছাড়বে এই ট্রেন। এরপর দুপুর ১টার সময় এই বন্দে ভারত পাটনা পৌঁছবে। এরপর পাটনা থেকে বন্দে ভারত ছাড়বে বেলা ৩টের সময়। আর এনজেপি পৌঁছবে এই ট্রেন রাত ১০টার সময়। সপ্তাহে ৬দিন চলবে এই ট্রেন। কেবলমাত্র বৃহস্পতিবার এই ট্রেন চলবে না। এককথায় শিলিগুড়ির সঙ্গে পাটনা আরও তাড়াতাড়ি পৌঁছন যাবে। অপর একটি বন্দে ভারত হল পাটনা ও লখনউ রুটে। এই ট্রেনটি পাটনা থেকে সকাল ৬টায় ছাড়তে পারে। এরপর এটি লখনউ পৌঁছতে রাত সাড়ে ১০টা হয়ে যাবে। এই ট্রেনটি অযোধ্য়ার উপর দিয়ে যাবে। তবে ট্রেনের কোনও নির্দিষ্ট সময়সূচি এখনও জানানো হয়নি বলেও খবর। সব মিলিয়ে বন্দে ভারতের হাত ধরে শীঘ্রই এনজেপি ও বিহারের মধ্য়ে যোগোযাগ আরও দ্রুততার সঙ্গে হতে পারে।