বিগত কয়েক বছরে বহু রোহিঙ্গা ⭕এবং বাংলাদেশি নাগরিক উত্তর-পূর্ব সীমান্ত হয়ে ভারতে প্রবেশ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে যে তারা গা ঢাকা দিতে চলে যাচ্ছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। এই আবহে এবার মানব পাচারের মামলায় তদন্তে নেমেছে বড়সড় সাফল্য পেল এনআইএ। এবার রোহিঙ্গা পাচার মামলায় অন্যতম মূল অভিযুক্তকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্🦩থা। ধৃতের নাম জলিল মিঁয়া। ত্রিপুরার গোপন ডেরায় অভিযান চালিয়ে এনআইএ তাকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: মানব পাচཧারে জড়িত ꩵথাকার অভিযোগে গ্রেফতার দিল্লি বিমানবন্দরের ৪ কর্মী
এই মামলায় তদন্ত নেমেই জলিলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছিল এনআইএ। তবে পলাতক থাকায় এর আগে তাকে গ্রেফতারের জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে নগদ এক লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। ইতিমধ্যেই এই মামলায় ৩৩ জনকে গ্রেফতার করে অসমের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পরে তাদের তুলেꦕ দেওয়া হয় এনআইএয়ের হাতে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারা-সহ পাসপোর্ট আইনেও মামলা রুজু করা হয়।
এনআইএ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই মানব পাচার চক্রের অন্যতম প্রধান চক্রী এবং চার্জশিটে অভিযুক্ত জীবন প൩াল ওরফে জীবন ওরফে সুমনের ঘনিষ্ঠ ছিল এই জলিল🙈। আরও দুই পলাতকের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে জলিলের। তারা প্রত্যেকেই ত্রিপুরার বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের নামে চার্জশিট দিয়েছে এনআইএ।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম, কর্নাটক, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, হরিয়ানা, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পুদুচেরির মোট ৫৫টি জায়গায় দিনভর তল্ল🍌াশি চালানো হয়। সেই সময় জলিল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। তবে তার বাসভবন থেকে একাধিক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এবং অন্যান্য নথি উদ্ধার করেছিল তদন্তকারী দল।
পরে গত ডিসেম্বরে আরও চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এনআইএ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে প্রতি মাস𓃲ে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক এবং রোহিঙ্গাকে ভারতে পাচার করত ধৃতরা। পাশাপাশি সেখান থেকে তাদের পাঠানো হত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। এছাড়াও তাদের দিয়ে বিভিন্ন কাজ করানো হত। এই ঘটনায় অন্যান্য পলাতকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চাল🌱াচ্ছে এনআইএ।