পরিযায়ী শ্রমিকদের এলাকায় থাকত। যাবতীয় নথিও দিয়েছিল। কিন্তু কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যে তিনজন আদতে আল-কায়দা জঙ্গি। আর তলে তলে চালাচ্ছিল লোন উলফ হামলার পরিকল্পনা। নিশানায় ছিল সাউথ নাভাল কমান্ড এবং কোচিং শিপইয়ার্ডের🔜 মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা।
আরও পড়ুন : বাংলা ও কেরালায় ফাঁস আল কায়দা মডিউল, NIA-এর জালে ৯ ✅জঙ্গি
শনিবার ভোররাত-সকালে কোচির পরিযায়ী শ্রমিকদের ছাউনি থেকে ওই তিন আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদﷺন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তাদের নাম মোশারাফ হোসেন, ইয়াকুব বিশ্বাস এবং মুরশিদ হাসান। ডেরা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ল্যাপটপ, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পুস্তিকা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম। ধৃত তিনজনই আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কোচিতে থাকছিল। একই সময়ের অভিযান💯ে মুর্শিদাবাদ থেকে এনআইয়ের জালে ধরা পড়েছে ছয় জঙ্গি।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, দিল্লি, মুম্বই, কোচির মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে ধারাবাহিক হামলা, বোমা বিস্ফোরণ এবং লোন উলফ হামলার পরিকল্🔥পনা করছিল তারা। একইসঙ্গে সাউথ নাভাল কমান্ড এবং কোচিং শিপইয়ার্ডের মতো নৌঘাঁটিও জঙ্গিদের নিশানায় ছিল। নজরদারি এড়াতে তিনজনে আলাদা থাকত। তবে প্রত্যেকের মধ্যেই যোগাযোগ ছিল।
পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যে ছিল কেরালা মডিউলের পাণ্ডা ম𝓰ুরশিদ। কোচিতে আসার আগে ইদুক্কিতে আট মাস একটি চায়ের দোকানে কাজ করত ইয়াকুব। কিন্তু তারা যে আল কায়দার মডিউলের সঙ্গে যুক্ত, তা কখনও ভাবতেও পারেননি অন্য শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন : কেউ কলেজ পড়ুয়া, কেউ দর্�🐬�জি-শ্রমিক, মুর্শিদাবাদের NIA-এর জালে ৬ আল কায়দা জঙ্গি
ধৃতদের সঙ্গে থাকতেন, এমন কয়েকজন শ্রমিক জানান, তিনজনই অত্যন্ত ধার্মিক ছিল এবং সবসময়ে ফোনে মুখ গুঁজে থাকত। কয়েকজন শ্রমিক আবার তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, ধৃতদের কেউই নিয়মিত কাজে যেত না এবং অধিকাংশ সময় ফোনে কাটাত। তবে তাদের মধ্যে কখনও অস্বাভাবিকতা দেখেননি বলে জানিয়েছেন🅘 এক স্থানীয় বাসিন্দা। তিনি বলেন, 'ওরা সাধারণ জীবনযাপন করত এবং থাকার আগে সব কাগজও দিয়েছিল। একজন তো পরিবারের সঙ্গেই থাকত। ওদের সন্ত্রাসাবাদী কার্যকলাপ শুনে আমরা অবাক হয়ে গিয়েছি।'
অতীতে কেরালায় একাধিকবার আইসিসের প্রতি সহানুভূতিশীল অনেকে ধꦬরা পড়লেও এই প্রথম আল কায়দা জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হল। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, স্থানীয় সাহায্যও পেয়েছ তিনজন। যারা এনক্রিপ্টেড টেলিগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্তানে আল কায়দা জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। একই সন্দেহ করেছে কেরালা পুলিশও। এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘আমরা সব পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নজর রাখছি এবং কর্মীদের যাবতীয় তথ্য রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’