পাকিস্তানের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান হল নিশান-ই-পাকিস্তান। আর এনিয়ে চতুর্থবার কোনও ভারতীয়কে এই সম্মান দেওয়া হল। দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের নেতা তথা আধ্যাত্মিক গুরু সৈদনা মুফাদ্দল সৈফুদ্দিনকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। ওই সম্প্রদায়ের বিশ্বব্যাপী উপস্থিতি রয়েছে। তাদের নেতাকেই পুরষ্কৃত করল পাকিস্তান। এই পুরস্কার বিদেশীদেও দেয় তারা। মূলত গোটা বিশ্বজুড়ে কোনও বিশেষ কাজের জন্য বা কোনও মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য় এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এবার দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের নেতা তথা আধ্যাত্মিক গুরু সৈদনা মুফাদ্দল সৈফুদ্দিনকে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এই পুরস্কার তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন। ইসলামাবাদে তাঁর বাসভবনে এই অনুষ্ঠান হয়। সেখানে পাক গভর্নর সিন্ধ কামরান তেসোরি ও বিদেশমন্ত্রী জালিল আব্বাস জিলানি সহ অন্যান্য়রা উপস্থিত ছিলেন। সৈদনার তরফে এক মুখপাত্র দিল্লিতে জানিয়েছেন, সৈদনা পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। সামাজিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এই পুরস্কার। স্বাস্থ্য, শিক্ষা পরিবেশ ও বিশ্ব জুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য় যে চেষ্টা তিনি করে গিয়েছেন তারই ফল স্বরূপ এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এদিকে পাকিস্তানেও সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা ধরনের আর্থ সামাজিক উন্নতিমূলক কাজ চালানো হয়। এদিকে পাকিস্তানে থাকাকালীন তিনি করাচি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে সৈদনা মুফাদ্দল সৈফুদ্দিন স্কুল অফ ল-এর সূচনা করেন। পাকিস্তানে শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিচ্ছেন বোহরা সম্প্রদায়। এর আগেও ভারতীয়রা এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। এর আগে ১৯৯০ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাই এই সম্মান পেয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালে পেয়েছিলেন দিলীপ কুমার। ২০২০ সালে এই সম্মান পেয়েছিলেন কাশ্মীরের নেতা আল শাহ গিলানি।তবে অন্য়ান্য যে বিদেশিরা এই অ্যাওয়ার্ড এর আগে পেয়েছিলেন তারা হলেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মহম্মদ ও কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি। এবার ফের কোনও ভারতীয় এই পুরস্কার পেলেন। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান।