সরাসরি কি আরআরএসের (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ) নির্দেশকে অমান্য করল বিজেপি? পদ্মশিবিরের অন্দরে কি নীতিন গডকড়িকে ‘সাইডলাইন’ করে দেওয়া হচ্ছে? নাগপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বৈঠকে গডকড়ি না থাকায় এমনই সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেই প্রশ্নগুলো আরও জোরালো💖ভাবে উঠে আসছে, কারণ শাহ নাগপুরে এসে যে বিদর্ভ এলাকার ৬২টিꦚ বিধানসভা আসন নিয়ে বৈঠক করেন, তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গডকড়ির খাসতালুক হিসেবে পরিচিত। বিদর্ভের ৬২টি আসনেই তাঁর প্রভাব আছে বলে মনে করা হয়। শুধু তাই নয়, একাধিক মহলের দাবি, গত মাসেই আরএসএস স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছিল যে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য পুরো রাজ্যেই প্রার্থী বাছাই এবং প্রচারের প্রক্রিয়ায় যেন গডকড়িকে রাখা হয়। বিশেষত বিদর্ভ অঞ্চলে তো গডকড়িকে ছাড়া বিজেপিকে এক পাও চলতে বারণ করেছিল আরএসএস।
শাহের বৈঠকে কেন নেই গডকড়ি?
সেইসব বিষয় সত্ত্বেও শাহ যখন নাগপুরে এসে বিধানসভ﷽া নির্বাচনের জন্য বিদর্ভ অঞ্চলের ৬২টি কেন্দ্রে বিজেপির প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন, তখন গডকড়ির অনুপস্থিতির বিষয়টি কারও নজর এড়ায়নি। শাহের বৈঠকে হাজির ছিলেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস, রাজ্য বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলে।
মোদীর সভাতেও ছিলেন না গডকড়ি
আর গডকড়ির অন🧸ুপস্থিতির বিষয়টি আরও চোখে লেগেছে, কারণ গত সপ্তাহে ওয়ার্ধায় প্রไধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় দেখা যায়নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। আর তাতেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে সংঘের নির্দেশকেও উপেক্ষা করলেন শাহ? তাঁকে কি ইচ্ছাকৃতভাবেই নাগপুরে শাহের বৈঠকে ডাকা হয়নি? বিধানসভা নির্বাচনের সময় কি নিজের দুর্গেই গডকড়িকে ‘রিজার্ভ বেঞ্চে’ বসিয়ে রাখা হবে?
গডকড়িকে ‘রিজার্ভ বেঞ্চে’ বসিয়ে ভালো ফল করতে পারবে BJP?
কোনও প্রশ্নেরই অবশ্য উত্তর মেলেনি। শাহ কোনও মন্তব্য করেননি। মুখ খোলেননি গডকড়ি নিজেও। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে যে গডকড়িকে ‘রিজার্ভ বেঞ্চে’ বসিয়ে বিদ🦩র্ভে ভালো ফল করতে পারবে তো বিজেপি? বিদর্ভ অঞ্চলকে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বল👍া হলেও সেটার পিছনে গডকড়ির অবদান কম নয়।
꧅অপর একটি অংশের মতে, ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ওই অঞ্চলে ৪৪টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। আর ২০১৯ সালের নির্বাচনে সেটা কমে ঠেকেছি♌ল ২৯-তে। লোকসভা নির্বাচনেও তিনটি কেন্দ্রের (রামটেক, চন্দ্রপুর এবং গোন্ডিয়া-ভান্ডারা) কোনও বিধানসভায় লিড পায়নি বিজেপি। সংশ্লিষ্ট মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, সেই কারণেই কি গডকড়ির উপরে আস্থা রাখছেন না শাহরা? সব প্রশ্নেরই উত্তর অবশ্য অধরা।