একের পর এক দেশে বন্ধ ব্যবহার। অভিযোগ টিকা প্রয়োগের পর রক্ত জমাট বাঁধার মত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এবার এই নিয়ে মুখ খুলল ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী অ্যাস্ট্রাজেনেকা। 'টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার কোনও সম্পর্ক নেই,' সাফ জানিয়ে দিল সংস্থা। অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানায়, কমপক্ষে ১ কোটিরও বেশি ব্যক্তি তাদের টিকা নিয়ে সুস্থ আছেন। তাই টিকাটির সুরক্ষা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই।'আমরা আমাদের কোভিড নাইন্টিন ভ্যাকসিনটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীনতার বিষয়ে সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই। বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ থেকেই এটা বলা। ভ্যাকসিনের সুরক্ষা আমাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য। এই বিষয়ে সর্বক্ষণ সতর্ক ও কর্মরত আমাদের সংস্থা,' বিজ্ঞপ্তিতে জানায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা।সংস্থা জানিয়েছে, ইউরোপের যে দেশগুলি থেকে অভিযোগ এসেছে, সেখানকার তথ্য রয়েছে তাদের কাছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেনের প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষের ডেটা থেকেই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তার সওয়াল করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।'পালমোনারি এম্বলিজম বা ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস-এর মতো মারাত্মক রক্ত জমাট বাঁধার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোনও ক্ষেত্রেই মেলেনি। বয়স, দেশ, লিঙ্গ নির্বিশেষে এই তথ্য,' দাবি অ্যাস্ট্রাজেনেকার। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নে ও ব্রিটেনে ১৫টি এমন ঘটনা ঘটেছে।এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে নরওয়ের দিক থেকে। সেখানে তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী ভ্যাকসিন নেওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। একাধিক সূত্রে দাবি, রক্ত জমাট বাঁধা, রক্তে প্লেটলেট-এর সংখ্যা কমে যাওয়ার মতো মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে তাঁদের শরীরে। ফলে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডেভেলপ করা এই ভ্যাকসিনকে ভাল চোখে দেখছে না বহু দেশ।একের পর এক গুরুতর অভিযোগের পরেও টিকাটির উপর থেকে ভরসা কমাতে নারাজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) । উল্টে তাঁরা টিকার কার্যকরিতা এখনও বেশ আত্মবিশ্বাসী। একই সুর ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সির-ও।গত সপ্তাহেই শুক্রবার হু-র মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, 'আমাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহার করা বন্ধ করার প্রয়োজন নেই।' ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি গত বৃহস্পতিবার জানায়, ভ্যাকসিনটির উপকারিতা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তুলনায় ঢের বেশি। তাই এটির ব্যবহার জারি রাখার পক্ষেই সওয়াল করে তারা।