ক্যাথলিক গির্জার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভুক্ত রাখার গুরুতর অভিযোগ জানালেন তিরুবনন্তপুরমের বহিষ্কৃত নান সিস্টার লুসি কালাপুরা। কনভেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে ভ্যাটিকানের দ্বারস্থ হয়েছেন সেবিকা।সিস্টার লুসির অভিযোগ, প্রতিদিন খাবার রান্না করার পরে তাঁকে অভুক্ত রেখে ভাঁড়ার ঘরে তালা দিয়ে দিতেন কনভেন্ট কর্তৃপক্ষ। তাঁকে ফ্রান্সিসকান ক্ল্যারিস্ট কংগ্রেগেশন (এফসিসি) থেকে তাড়ানোর জন্যই এই উদ্যোগ, জানিয়েছেন সিস্টার। কিন্তু খিদেয় আধমরা হলেও তিনি কনভেন্ট ছেড়ে যাননি, দাবি সেবিকার।সিস্টার লুসি জানিয়েছেন, ‘আমি কনভেন্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ জানিয়েছি, কিন্তু পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। মনে হচ্ছে আমার নিগ্রহকারীদের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নিতে ভয় পেয়েছে।’সিস্টারের দাবি, বিতর্কিত আত্মজীবনী প্রকাশিত হওয়ার পরেই তাঁকে হেনস্থা করতে শুরু করে চার্চ কর্তৃপক্ষ। কনভেন্ট থেকে তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে তিনি ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের উদ্দেশে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁর আশা, পোপের কাছে শেষ পর্যন্ত তিনি সুবিচার পাবেন। এ ছাড়া বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালতে যাবেন বলেও ঠিক করেছেন নিগৃহীতা সিস্টার।গত সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করে এফসিসি। সিস্টার লুসির দাবি, ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত জলন্ধরের পদচ্যূত বিশপ ফ্র্যাঙ্কো মাল্লাকালের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করার পরেই তাঁকে নিশানা করা হয়।সিস্টারকে বহিষ্কৃত করার সিদ্ধান্তে গত ডিসেম্বর মাসে স্থগিতাদেশ জারি করেছে ওয়াইনাডের আদালত। এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে মন্তব্য করতে রাজি হননি এফসিসি কর্তৃপক্ষ।বিতর্কের সূত্রপাত তাঁর সদ্যপ্রকাশিত আত্মজীবনীতে কনভেন্ট ও সেমিনারির অভ্যন্তরে চলা বিবিধ দুর্নীতির কথা সবিস্তারে সিস্টার লুসি ফাঁস করা থেকে। কনভেন্টের অন্তর্গত এক পাদ্রীর বাসভবনে নিজের চার বার যৌন লালসার শিকার হওয়ার কথা বইয়ে জানিয়েছেন সেবিকা। এ ছাড়া আরও অনেক ধর্মযাজকের নামেও যৌন কেচ্ছা তিনি প্রকাশ করেছেন।