মহর্ষি চরকের নামেই শপথ নিতে হবে ডাক্তারি পড়ুয়াদের। বিতর্কে জল ঢেলে শুক্রবার এই কথাই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল। এই মর্মে দেশের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজকেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তবে মেডিক্যাল কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না চিকিৎসকদেরই একাংশ। এর তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তাঁরা। মূলত গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটসের নামে ডাক্তারি পড়ুয়াদের শপথ নেওয়ার প্রচলন রয়েছে। চিকিৎসা পেশায় আসার আগে এই ধরনের শপথ নিতে হয়। তবে মোদী সরকারের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়, চিকিৎসক হিপোক্রেটস নয়, মহর্ষি চরকের নামে শপথ নিয়ে চিকিৎসকরা যেন জনসেবার কাজ শুরু করে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএস ক্লাস শুরুর দিন চরকের নামে শপথ হয়। তা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। চিকিৎসকদের একাংশ সরব হন। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, শিক্ষায় গৈরিকীকরণ করা হচ্ছে। তবে সব বিতর্ককে দূরে সরিয়ে শুক্রবার সেই চরক শপথকেই মান্যতা দিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল। মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী ১২ থেকে ২১ জুন পঠন পাঠন শুরুর আগে যোগব্যায়াম করতে হবে। প্রতিটি মেডিক্যাল পড়ুয়াকে একটি পরিবারের জীবনযাপনের যাবতীয় ক্লিনিকাল তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এই সব ক্লিনিকাল তথ্যের মধ্যে হেমোগ্লোবিন, ব্লাড প্রেসার, সুগার সম্পর্কে তথ্য রাখতে হবে। চিকিৎসক মহলের একাংশের মতে, আগে ইন্টার্নশিপ করার সময়ে শপথ নেওয়ার প্রচলন ছিল ডাক্তারি পড়ুয়াদের। কিন্তু এখন তো ডাক্তারি পঠন পাঠনের শুরুতে শপথ পাঠ করানোর কথা বলা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক–সাংসদ শান্তনু সেন জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে মেডিক্যাল শিক্ষা তার গরিমা হারাবে। দেশের অন্যান্য সমস্যা থেকে নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য বিজেপি সরকার এই সব করছে।