দেবব্রত মোহান্তি
এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরেও এফআইআর করতে দেরি করেছিল পুলিশ। আর সেই পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে ওড়িশা হাই কো✃র্ট। পাশাপাশি কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে এক ইনস্পেক্টরকে ফ꧙িল্ড পোস্টিং না দিয়ে ফের ট্রেনিংয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে ওড়িশা হাইকোর্ট।
চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওড়িশার এক অ্যাপার্টমেন্টে ২৮ বছর বয়সী এক যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এই ঘটনায় ভারতীয় হকি টিমের প্রাক্তন ভাইস ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র লাকরার নাম জড়ায়। এনিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই যুবকের মা বন্দনা টোপ্পো। হাইকোর্টের বিচারপতি এসকে পানিগ্রাহী জানিয়েছেন, পুলিশ অভিযোগকারীদের অভিযোগ নিতে চায়নি। এর জেরে থানায় কোনও প্রমাণ নেই। আর আবেদনকারী আদালতে আসার পরে তখন পুলিশ এফআইআর করতে চেয়েছে। সমাজের অবাঞ্চিত উপাদান থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা পুলিশের কাজ। কিন্তু তারাই যদি সমাজে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে উৎসাহ দেয় তবে পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা কমবে। এফআইআর করতে দেরি হওয়ার মানে বুঝতে হবে, প্রাতিষ্ঠানিক অলসতা সিস্টেমের মধ্যে তৈরি হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। ভুবন♛েশ্বরের ডেপুটি সিপিকে গোটা ঘটনায় নজর রাখার জন্য় নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে মৃতের বাবার দাবি,ঘটনার সময়ে, বীরেন্দ্র লাকরা ও মনজিৎ টেটে নামে এক মহিলা সেই সময় ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন। মনজিৎ প্রথমে ছেলেকে ঝুলন্ত ﷽অবস্থায় দেখে তাকে নামিয়েছিল। কিন্তু এই সব কথায় অনেক সন্দেহ দানা বেঁধেছে। আমার ছেলেকে প্রলোভন দেখিয়ে ওখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ।এরপর বিষ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে মারা হয়।কিন্তু পুলিশ এনিয়ে যথ𝓀াযথ তদন্ত করছে না।
এদিকে আদালত জানিয়েছে, এফআইআরে দেরি করা নিয়ে কোনও উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারেনি পুলিশ।বৃদ্ধ বাবা মা বার বার থানায় ছুটে গিয়েছেন। কিন্তু এফআইআর নেওয়া হয়নি। এনিয়ে ডেপুটি কমিশনারকে কারণ জানাতে বলেছিলেন। এনিয়ে তিনি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইনস্পেক্টর এনিয়♍ে কোনও রিপোর্ট দেননি।