পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে যে অচলাবস্থা, তার ১০০ দিন হয়ে গেল। এর মধ্যে হয়েছে গালওয়ানের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ যেখানে ২০ জন ভারতীয় ও অজানা সংখ্যক চিনা সৈন্য প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু সীমান্তে উদ্ভুত পরিস্থিতির সমাধান খোঁজার দায় তাদের নয় বলে দাবি করলেন ভারতে স্থিত চিনের রাষ্ট্রদূত সুন ওয়েদঙ্গ। চিন হাইকমিশনের তরফ থেকে প্রকাশিত ম্যাগাজিন চিন-ইন্ডিয়া রিভিউ-তে একটি নিবন্ধে এই কথা বলেছেন রাষ্ট্রদূত। এটি হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছে। গালওয়ান নিয়ে রাষ্ট্রদূতের দাবি হল যে কেউ যদি বিস্তারিত ভাবে বিবেচনা করে, তাহলে এই ঘটনার দায় চিনের নয়। ভারত সীমান্ত পেরিয়েছিল বলেই ঝামেলা লাগে। একই সঙ্গে তিনি বলেন যে গালওয়ান উপত্যকা চিনের, ভারতের নয়। প্রসঙ্গত চিনের এই দাবি আগেই অতিরঞ্জিত ও ধোপে টিকবে না, বলে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। এই মুহূর্তে সেনা সরানোর কাজও যে কার্যত থমকে আছে, তাও বলা হয়েছে নয়াদিল্লির তরফে, যদিও চিন দাবি করছে কাজ প্রায় শেষ।চিনের রাষ্ট্রদূত বলেন যে দুই দেশ শান্তিতে বছরের পর বছর কাজ করেছে। কিন্তু এই বছরের শুরু থেকেই গালওয়ানে নির্মাণ কাজ শুরু করে ভারত স্ট্যাটাস ক্যু বদলেছে বলে দাবি করেছেন সুন। একই সঙ্গে গালওয়ানে সংঘর্ষের জন্য ভারত দায়ী কারণ তারা কোর কম্যান্ডারদের বৈঠকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে, বলে অভিযোগ করেন চিনের রাষ্ট্রদূত। আপাতত দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত পরিস্থিতি সুস্থির ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে, বলে তিনি দাবি করেন। ভারত যদি আর নতুন করে উস্কানি না দেয়, তাহলে সমস্যা বাড়বে না, এমন ভাবেই নয়াদিল্লির ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করেন রাষ্ট্রদূত। প্রসঙ্গত চিনের রাষ্ট্রদূত দাবি করলেও বাস্তবটি অনেকটাই আলাদা। ৫ মে থেকে শুরু হয়েছে সীমান্তে অশান্তি। এখন কিছু জায়গায় বাফার জোন তৈরী হলেও এখনও প্যাংগং সো তে ফিঙ্গার ৪-এ বসে আছে চিন। একই সঙ্গে গোগরাতেও আছে লাল ফৌজ। ডেপসাংয়ে ক্রমশ বাড়ছে চিনের গতিবিধি। কার্যত ভারতের ধ্যৈর্য্যের পরীক্ষা নিচ্ছে চিন।