যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। ক্রমশ ভয়াবহ হয়েছে পরিস্থিতি। এদিকে এর জেরে বার বার সমস্যার মুখে পড়েছে অপারেশন গঙ্গা। তবে শেষ পর্যন্ত ভারতীয় ছাত্রদের উদ্ধারে সব রকম উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। তবুও এখনও যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন কিছু ভারতীয় ছাত্র। কিন্তু তাঁদেরকে দেশে ফেরানোর জন্য প্রকৃত অর্থেই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন। আরে সেজন্য রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এনিয়ে সরসারি হস্তক্ষেপ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাধিক দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন । ভার্চুয়ালি তিনি হাঙ্গেরি ও রোমানিয়ার দূতাবাসের আধিকারিকদের সঙ্গেও আলোচনা করেন। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরণ রিজিজু, পেট্রলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ও সিভিল এভিয়েশনের রাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল( অবসরপ্রাপ্ত) ভিকে সিংও এই আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন।এদিকে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মঙ্গলবার রাজ্য়সভায় বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সুমি থেকে উদ্ধার করাটা অত্যন্ত জটিল। তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের জেরে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি আর তার জেরেই ওই শহর থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর নিরাপদ করিডোরের মাধ্যমে ভারতীয়দের উদ্ধার করার উদ্যোগ।এদিকে সুমি থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করা ছিল অত্যন্ত কঠিন কারণ তাঁরা ক্রশফায়ারের মধ্যে পড়ে যেতে পারতেন। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন ছিল। মোদীর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবে রূপ পেল। প্রসঙ্গত এখনও পর্যন্ত ভারত ২২,৫০০ নাগরিককে উদ্ধার করতে পেরেছে। বাংলাদেশ ও নেপালের নাগরিকদের উদ্ধারেও হাত বাড়িয়েছে ভারত।