রাজ্যসভায় যেভাবে কৃষি বিল পাশ করা হয়েছে ও আটজন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে আগেই উচ্চকক্ষ এই অধিবেশের জন্য বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিরোধীরা। গত দুইদিনে বিরোধী শূন্য রাজ্যসভায় বেশ কয়েকটি বিল পাশ করিয়েছে সরকার পক্ষ। এদিন কোভিডের কারণে অধিবেশন অনির্দিষ্ট কালের জন্য মুলতুবি করে দেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। নির্দিষ্ট সময়ের আটদিন আগেই শেষ হল রাজ্যসভার কাজ। এদিন সকাল থেকেই রাজ্যসভায় ছিলেন না বিরোধীরা। সংসদের বাইরে মৌন প্রতিবাদে সামিল হন তাঁরা। মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি থেকে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশ অবধি মিছিল করেন তাঁরা। এরপর সারিবদ্ধ হয়ে বিরোধী ঐক্যের বার্তা দিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাংসদরা। সেখানে ছিলেন কংগ্রেস, টিএমসি, বাম দল, আরজেডি, আপ, এসপি ও এনসিপি-র সাংসদরা। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের চিফ হুইপ জয়রাম রমেশ বলেন যে কংগ্রেস ও সম মনোভাবাপন্ন দলগুলি এদিন বিক্ষোভ করছে। তিনি অভিযোগ করেন চাষী বিরোধী, মজদুর বিরোধী বিল কোনও আলোচনা ছাড়াই সংসদে পাশ করিয়ে নিচ্ছে মোদী সরকার। এছাড়াও রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের ঘরে বসে বৈঠক আগামী রণনীতি ঠিক করার জন্য। এদিন রাজ্যসভায় এফসিআরএ বিল পাশ করানো হয় যেটি বিরোধীদের অভিযোগ এনজিও-দের টার্গেট করার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে। অন্যদিকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রম বিলও ফাঁকা রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে নিয়েছে সরকার। এই সব বিলে সায় না দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে তদ্বির করতে চায় বিরোধীরা। তাঁদের সঙ্গে আজ দেখা করবেন রাষ্ট্রপতি, তবে কোভিডের জেরে তিনি মাত্র পাঁচজনকে আসতে বলেছেন। বাদল অধিবেশনের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সংক্ষিপ্ত সময় চলল রাজ্যসভা। এর আগে দুই বার ছয় দিন করে চলেছিল রাজ্য়সভা। এবার ১৮ দিনের জায়গায় চলল দশ দিন।