গোপনীয়তার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার, ভারত সরকার তা জানে বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। কেন্দ্রের নয়া আইটি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে হোয়াটসঅ্যাপ। সেই প্রেক্ষিতেই এই জবাব দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। এই প্রেক্ষিতে কু অ্যাপে একটি বার্তা পোস্ট করেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। সেখানে তিনি লেখেন, ভারত সরকার জানে গোপনীয়তার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার এবং সরকারের তরফ থেকে ভারতের নাগরিকদের সেই অধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে।উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য নয়া আইটি আইনের কথা জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। আইনে বলা হয়, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে পোস্ট করা বার্তা, ছবি, ভিডিয়োর উৎস সংস্থাগুলিকে জানাতে হবে কেন্দ্রকে৷ বুধবার থেকে এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে৷ তবে সেই আইন এখনও বলবৎ করেনি বড় বড় সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি। এর প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য, গোপনীয়তার অধিকারসহ নাগরিকদের কোনও মৌলিক অধিকারই চূড়ান্ত নয় এবং তা যুক্তি সঙ্গত কারণে এর উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা যেতে পারে।এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ কু বার্তায় লেখেন, 'ভারত সরকার তার নাগরিকদের গোপনীয়তা রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ৷ একইসঙ্গে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার দিকেও নজর রাখা সরকারের দায়িত্ব৷ ডিজিটাল মাধ্যমের জন্য ভারতের প্রস্তাবিত বিধিগুলির কোনওটিই হোয়াটসঅ্যাপের সাধারণ ক্রিয়াকলাপকে কোনওভাবেই প্রভাবিত করবে না৷ এবং সাধারণ ব্যবহারকারীরাও এর দ্বারা প্রভাবিত হবেন না৷'অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি কেন্দ্রে এই প্রস্তাব মানবে বলা জানালেও এর বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় হোয়াটসঅ্যাপ।