🦂 দিল্লি বিধানসভায় তুলকালাম ঘিরে কক্ষ থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অতিশী সহ ১২ আপ বিধায়ককে সাসপেন্ড করলেন স্পিকার বিজেন্দ্র গুপ্ত। এককালে যখন দিল্লিতে আপ সরকার ছিল, তখন দিল্লি বিধানসভায় এই বিজেন্দ্র গুপ্ত ছিলেন বিজেপির তরফের বিধায়ক।একটি ঘটনায় তখন তাঁকে বিধানসভা কক্ষ থেকে মার্শালদের দিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এরপর যমুনা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জলরাশি। আজ মঙ্গলবার, দিল্লি বিধানসভায় ক্যাগ রিপোর্ট পেশ ঘিরে তুলকালাম হতেই অতিশী সহ ১২ আপ বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন বর্তমান দিল্লি বিধানসভার স্পিকার পদে থাকা সেই বিজেন্দ্র গুপ্ত।
🐷আপ নেতা অতিশী, গোপাল রাই, বীর সিং ধিঙ্গান, মুকেশ আহলাওয়াত, চৌধুরী জুবায়ের আহমেদ, অনিল ঝা, বিশেষ রবি এবং জার্নাইল সিংকে সাসপেন্ড করা হয়। কারণ তাঁরা, মঙ্গলবার লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনার বক্তৃতার সময় স্লোগান দিচ্ছিলেন। ভিডিয়ো ফুটেজ থেকে দেখা যাচ্ছে, দিল্লি বিধানসভায় লেফ্টন্যান্ট গভর্নর ভাষণ শুরু করতেই বিপক্ষের আপ বিধায়করা তুলকালাম শুরু করেন। তাঁরা স্লোগান দিচ্ছিলেন কক্ষে। আর তা ঘিরেই তুলকালাম শুরু হয়। আপ বিধায়করা ‘জয় ভিম’ স্লোগান দিতেই পরিস্থিতি সরগরম হয়। তারপরই সাসপেন্ড হন ১২ আপ বিধায়ক। এরপর তাঁরা বিধানসভা কক্ষের বাইরে প্রতিবাদ করেন। সেখানে বাবা সাহেব আম্বেদকরের ছবি হাতে তাঁরা প্রতিবাদ করেন। এদিকে, দিল্লি বিধানসভার কক্ষের অন্দরে তাঁরা প্রতিবাদ শুরু করতেই তাঁদের স্পিকার বিজেন্দ্র গুপ্ত সাসপেন্ড করেন। বর্তমান দিল্লি বিধানসবার স্পিকার পদে থাকা বিজেন্দ্র তাঁদের সাসপেন্ড করার ঘটনা ঘিরে ফের একবার উস্কে যাচ্ছে, আপ আমলের দিল্লি বিধানসভায় এক পুরনো ঘটনা।
বিজেন্দ্র গুপ্তাকে ঘিরে কী ঘটেছিল?
😼ঘটনা ২০১৫ সালের। সেইবারের দিল্লি বিধানসভা ভোটে জিতে বিধানসভায় আম আদমি পার্টির ৬৭ জন বিধায়ক থিলেন। আর বিজেপি থেকে ৩ জন বিধায়ক। সেই সময়, তিনি আপের মহিলা বিধায়কদের সঙ্গে একটি ইস্যু ঘিরে তর্ক করছিলেন কক্ষে। এমন সময়ই তৎকালীন দিল্লি বিধানসভার স্পিকার রামনিবাস গোয়েল, বিজেন্দ্র গুপ্তাকে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন বিকেল ৪ পর্যন্ত সময়ের জন্য। সেই নির্দেশ শোনেননি বিজেন্দ্র গুপ্ত। তারপরই তাঁকে কক্ষ থেকে মার্শাল দিয়ে বের করা হয়।
দিল্লি বিধানসভায় পেশ ক্যাগ রিপোর্ট:-
ꦺএদিকে, এদিন দিল্লি বিধানসভায় পেশ করা হয় ক্যাগ রিপোর্ট। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দিল্লিতে আপ সরকার যে আবগারি নীতি চালু করেছিল তা রাজধানীর কোষাগারে বড় ধাক্কা দিয়েছে। অন্তত ২ হাজার ২৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে দিল্লি সরকারের। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দিল্লিতে আবগারি নীতিতে প্রচুর ত্রুটি ছিল। সেটা প্রকাশ্যে আসার পরও ব্যবস্থা নেয়নি দিল্লি সরকার।