পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর হয়ে চরবৃত্তি করার দায়ে সম্প্রতি ব্রহ্মস এরোস্পেস সংস্থার প্রাক্তন বিজ্ঞানী নিশান্ত আগরওয়ালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে আদালত। সেই মামলার নথি থেকেই এবার জানা গিয়েছে, ভারতীয় মহিলা সেজে এদেশের আধিকারিকদের মধুচক্রে ফাঁসাচ্ছে পাকিস্তানের আইএসআই-এর একাধিক গুপ্তচর। কারও নাম হয়ত সেজাল কাপুর, কারও আরোহি অলোর, অদিতি অ্যারন, অদিতি আগরওয়াল, অনামিকা শর্মা, দিব্যা রায় বা নেহা শর্মা। এমনই এক নামের দ্বারা মধুচক্রে ফেঁসেছিলেন ব্রহ্মসের প্রাক্তন বিজ্ঞানী নিশান্ত। উত্তরপ্রদেশ এটিএস আধিকারিক পঙ্কজ অবস্থি জানান, নিশান্তকে ফাঁসিয়েছিল সেজাল নামক এক ভুয়ো প্রোফাইলের নেপথ্যে থাকা পাক গুপ্তচর। (আরও পড়ুন: ২০২৪ UPSC সিভিল সার্ভিস প্রিলিমস পরীক্ষার💮 প্রশ্ন কেমন হল? কꦺত হতে পারে কাট-অফ?)
আরও পড়ুন: নিট প্রশ্ন ফাঁস কাণ্💃ডে উদ্ধার ৬টি চেক, পরীক্ষার্থী পিছু কত করে 'চার্জ🔥' করা হয়?
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের মাথায় হাত মুখ্যমন্ত্রীর বড় ঘ🐟োষণায়, এবার পকেট থেকে খসবে ဣটাকা
আদালতের নথি থেকে জানা গিয়েছে, নিশান্তের কাছে 'সেজাল' দাবি করেছিল, সে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক 'হেয়জ এভিয়েশন' নামক একটি সংস্থার কর্মী। এমনকী নিশান্তের ফ্রেন্ড লিস্টে আরও দু'টি প্রোফাইল ছিল, যেগুলি পাকিস্তানি ছিল। সেই প্রোফাইলগুলি নেহা শর্মা এবং পূজা রঞ্জনের নামে ছিল। এদিকে 'সেজাল'-এর সাথে নিশান্স লিঙ্কডইনেও কথা বলেছিল। সেজালের নির্দেশে কিউহুইস্পার, চ্যাট টু হায়ার এবং এক্স ট্রাস্ট নামক তিনটি অ্যাপে পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করেছিল নিশান্ত। এই অ্যাপগুলি আদতে ছিল ম্যালওয়্যার। নিশান্তের ডেটা চুরি করা হয়েছিল এই সব অ্যাপের মাধ্যমে তাঁর ডিভাইস হ্যাক করে। এই সেজাল নাকি প্রতিরক্ষা খাতের সঙ্গে যুক্ত আরও অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল। লখনউ ভিত্তির এক বায়ুসেনা আধিকারিকও সেজালের সঙ্গে রোম্যান্টিক চ্যাট করেছিল। তবে এই মামলায় সেই আধিকারিককে অভিযুক্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এছাড়াও অমৃতসরের এক বায়ুসেনা আধিকারিকের সঙ্গেও নাকি এই সেজালের কথপোকথন হত। তবে তিনিও এই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন না। (আরও পড়ুন: শীঘ্রই গুর🌳ুত্বপূর্ণ বৈঠকে নির্মলা, কবে পেশ হত♎ে পারে ‘ঐতিহাসিক’ পূর্ণাঙ্গ বাজেট?)
আরও পড়ুন: ৯% ডি🎐এ বাড়িয়ে করা হল ২৩৯ শতাংশ, রাজ্য সরকারি কর্মীদের দেওয়া হবে বকেয়াও
ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস প্রাইভেট লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার তথা অবসর✤প্রাপ্ত মেজর জেনারেল অচ্যুত দেও এই মামলায় আদালতে সাক্ষী দিয়েছিলেন। তিনি আদালতকে বলেছিলেন, যে নিশান্তের অফিসের কম্পিউটার থেকে তথ্য পাঠানো বা অপব্যবহার করার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে তার ল্যাপটপ থেকে কিছু তথ্য উদ্ধার হয়েছে। যদিও ব্যক্তিগত কম্পিউটার বা ল্যাপটপে বিভাগীয় তথ্য রাখার কোনও নির্দেশ ছিল না। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে নিশান্তকে তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কাꦰরের জন্যও সুপারিশ করা হয়েছিল। তারপরেই এই বিষয়টি সামনে এসে। ০১৮ সালে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের এটিএস (সন্ত্রাসদমন শাখা) এবং সেনবাহিনীর গুপ্তচর বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছিল।