তোষাখানা মামলায় দুর্নীতির দায়ে ৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ইমরান খানের। ব🍌র্তমানে তিনি অটক জেলে বন্দি রয়েছেন। কিন্তু, জেলের মধ্যে দিনে মাছি এবং রাতে মশার অত্যাচারে কার্যত অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ইমরান। ফলে ওই জেলে আর থাকতে পারছেন না প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।।সেই জেল থেকে বের করার জন্য আইনজীবীদের কাছে কাতর জানিয়েছেন ৭০ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদ। এরপরেই ইমরানকে অন্য জেলে স্থানান্তরের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টি ।
আরও পড়ুন: মাছি-পিঁপড়ের উপদ্রব, খাবারে শাক-ডাল, তবু ▨বাকি জীবন জেলে কাটাতে তৈরি ইমরান
পঞ্জাব প্রদেশের অটক জেলে থেকে রাওয়ালপিন্ডির উচ্চ নিরাপত্তাযুক্ত আদিয়ালা জেলে দলের প্রধানকে স্থানান্তরের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছে পিটিআই। হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে, ইমরানকে এমন একটি কারাগারে স্থানান্তর করা হোক যেখানে এ-শ্রেণির সুবিধা পাওয়া যাবে। তাঁর পরিবার, আইনজীবী এবং চিকিৎসক ড. ফয়সাল সুলতানকে যেন তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়। অটক জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলে আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার সময় ইমরান বলেছিলেন, ‘আমি জেলে থাকতে চাই না, আমাকে এখান থেকে নিয়ে যান।’ ইমরানের আইনজীবী প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলেন, ইমরানকে যে পরিস্থিতিতে রাখা হয়েছে তা খ🐲ুবই দুঃখজনক। জেলে তাঁকে সি ক্যাটাগরির সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। অথচ তাঁর এ ক্যাটাগরির সুবিধা পাওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, তোষাখানা মামলায় ইসলামাবাদের একটি আদালত দুর্নীতিমূলক আচরণ করার জন্য ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করার পরই শনিবার প্রাক্তন প্র🌃ধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর থেকেই তিনি ওই জেলে রয়েছেন। যদিও পরে তিনি এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। নিম্ন আদালত পক্ষপাতিত্ব করেছে বলে তাঁর দাবি। তাছাড়া বিচারকের এই রায় ‘ন্যায্য বিচারের মুখে একটি চড়’ এবং ‘বিচারের সঙ্গে চরম প্রতারণা’ বলেও উল্লেখ করেছিলেন। ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। রাষ্ট্রের দখলে থাকা উপহার বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ। সাধারণত রাষ্ট্রের প্রধানরা বিদেশ সফর যে উপহার পেয়ে থাকেন তা দেশের💙 নিয়ম অনুযায়ী পাক তোষাখানায় জমা হয়। সেগুলি তিনি বিক্রি করেছিলেন বলে অভিযোগ। যার মূল্য ১৪ কোটি টাকারও বেশি।