জম্মুতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর নজরে পড়ল পাকিস্তানের একটি ড্রোন। সেটি লক্ষ্য করে গুলি চালায় সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)। তারপর সেটি পাকিস্তানের দিকে চলে যায়।বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় জম্মু জেলার আর্নিয়া সেক্টরে ১৯৮ কিলোমিটারের আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর পাকিস্তানের একটি গোয়েন্দা ড্রোন নজরে আসে। বিএসএফের ইনস্পেক্টর জেনারেল এনএস জামওয়াল জানান, ড্রোন লক্ষ্য করে কয়েকবার গুলি চালান জওয়ানরা। তারপর তা পাকিস্তানের অভিমুখে চলে যায়। ড্রোনের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।এমনিতেই এখন জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি, অস্ত্র, গোলাগুলি এবং মাদক ঢোকাতে ড্রোন এবং আন্তঃসীমান্ত সুড়ঙ্গের ব্যবহার করছে পাকিস্তান। গত ১৭ নভেম্বর নাগরোটার বান টোল প্লাজায় যে চার জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিকে খতম করা হয়েছিল, তারাও সাম্বা সেক্টরের একটি আন্তঃসীমান্ত সুড়ঙ্গ দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল। ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ১৬০ মিটার ভিতর পর্যন্ত এসেছিল। ছোটো ছোটো কাঠের পাটাতন দিয়ে সেটিকে মজবুত করা হয়েছে। সেটির গভীরতা প্রায় ২০ ফুট এবং তিন ফুট চওড়া। সুড়ঙ্গের মুখ প্রায় ১.৫ ফুট চওড়া। যেখান দিয়ে অনায়াসে ৩২ ইঞ্চির কোমর পার করে যেতে পারে।তারইমধ্যে শনিবার ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে জানান, শীতের আগমনের ফলে বিভিন্ন পাসে তুষার জমে অনুপ্রবেশ করা অসম্ভব হয়ে যাবে। সেজন্য মরিয়া হয়ে অনুপ্রবেশের নয়া উপায় খুঁজছে জঙ্গিরা। তিনি বলেন, 'সেই কারণেই ওরা (জঙ্গিরা) দক্ষিণ দিকে সরে যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর সুড়ঙ্গ-সহ দিয়ে নীচু এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।'পাশাপাশি সীমান্তে কড়া প্রহরা দিচ্ছে বিএসএফ। সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিএসএফের সতর্কতার কারণে সীমান্তের তার বা ফাঁকা জায়গা দিয়ে ভারতে জঙ্গি এবং অস্ত্র পাঠাতে সমস্যার মুখে পড়েছে পাাকিস্তান। সেজন্য ড্রোন, আন্তঃসীমান্ত সুড়ঙ্গের মতো বিভিন্ন উপায়ে সেই কাজ করার চেষ্টা করছে। অপর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সেনা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতির কারণে কাশ্মীরে কোনও প্রভাব ফেলতে পারছে না পাকিস্তান। সেজন্য জম্মুর সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় গতিবিধি বাড়িয়েছে ইমরান খানের দেশ।