অক্সিজেনের অভাবে কারও মৃত্যু হয়েছে বলে রাজ্যগুলির তরফে জানানো হয়নি বলে দাবি করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু কর্নাটক হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্তকারী কমিশনের রিপোর্ট কিন্তু অন্য কথাই বলছে। সেক্ষেত্রে ওই বিশেষ কমিটি স্পষ্ট জানাচ্ছে, অক্সিজেনের অভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কর্নাটকে ২৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে।আদালতের নির্দেশে তদন্তকারীদের জমা দেওয়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চামারাজনগর ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স হাসপাতালে গত ২ ও ৩ মে অক্সিজেনের অভাবে ২৪ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে সরাসরি অক্সিজেনের অভাবে। বাকি ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেন সরবরাহ চালু হওয়ার পর। পাশাপাশি তদন্তকারীদের রিপোর্টে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তাঁদের বিষয়ে তদন্তকারী কমিশনের রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি।সম্প্রতি কর্নাটক হাইকোর্টের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অক্সিজেনের অভাবে ১৩ জনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে। কারণ, সকলের মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে। যদিও কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ থাকা বাকি ১১ জনকে নিয়ে অবশ্য আদালতের তরফে আর্থিক সাহায্যের কথা এখনও জানানো হয়নি।এদিকে কমিশনের দেওয়া রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কর্নাটক সরকারের সঙ্গে তদন্তকারী কমিশনের মত পার্থক্য দেখা দিয়েছে। সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে, হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছিল, ২ মে রাত সাড়ে ১০টা থেকে ৩ মে রাত আড়াইটে পর্যন্ত হাসপাতালে অক্সিজেন ছিল না। সরাসরি অক্সিজেনের অভাবে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তাহলে তিন জনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু বাকি ১০ জনের পরিবারকে ৪ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কারণ, সেক্ষেত্রে অক্সিজেন সরবরাহ প্রতিস্থাপনের পর তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। তবে হাইকোর্ট অবশ্য সেকথা মানতে রাজি হয়নি। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ১৩ জনের পরিবারকেই ৫ লাখ টাকা দিতে হবে।