অনেক দিন থেকেই চিন ইস্যুতে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়া♊র। এবার সরাসরি কংগ্রেসকে এক হাত নিলেন তিনি ও চিন-ভারত দ্বন্দ্বের পূর্ব ইতিহাস সম্বন্ধে মনে করিয়ে দিলেন শরিক দলের নেতৃত্বকে। এটিকে বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
শরদ পাওয়ার এদিন পশ্চিম মহারাষ্ট্রের সাতারায় একটি অনুষ্ঠানে ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন এটা ঠিক যে চিন ভারতের জমি নিয়ে নিচ্ছে কিন্তু এটা ভুললে চলবౠে না ১৯৬২ সালে ওরা ভারতের ৪৫ হাজার বর্গ কিমি জমি নিয়েছিল। সেটা এখনও ফেরত পাওয়া যায় নি। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বলেন🔥 যে আমরা যখন সরকারে ছিলাম তখন কী হয়েছিল সেটা মনে রাখা দরকার অভিযোগ করার আগে।
প্রসঙ্গত ১৯৬২ সালে কংগ্রেসে ছিলেন পাওয়ার। সেই কথা মনে করে তিনি বলেন যে আমাদের আমলে অনেকটা ভূখণও্ড নিয়েছিল চিন। প্রসঙ্গত ১৯৬২ যুদ্ধে, চিনের কাছে পরাজিত হয় ভারত। এনসিপি প্রধান বলেন যে জাতীয় সুরক্ষার বিষয়ে রাজনীতি আনা উচিত না।
প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে চিন সেনা ভারতে প্রবেশ করেনি। সেই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে গত কয়েক দিন ধরে সরকারকে বিঁধছে কংগ্রেস। কেন কুড়িজন সেনা মারা গেলেন, ম🧜োদী সরকারকে বারংবার প্রশ্ন করছে প্রধান বিরোধী দল।
কিন্তু অনেকটাই ভিন্ন অবস্থান তাদের ছোটো শরিক এনসিপি-র। শরদ পাওয়ার বলেন গালওয়ান সংঘর্ষকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের ব্যর্থতা বলে দেখা ঠিক হবে না। শরদ পাওয়ার বলেন যে সংঘর্ষ হয়েছে মানেই এটা তো ⛎ঠিক যে ভারত সজাগ ছিল। চিন ঢুকতে চেষ্টা করতেই আটকেছে। নাহলে তো ভারতে প্রবেশ করে যেত অতর্কিতে, যুক্তি দিয়েছেন এনসিপি প্রধান।
এই মুহূর্তে কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনা মিলে মহারাষ্ট্রে সরকার চালাচ্ছে। ঘরে বাইরে গালওয়ান নিয়ে আক্রমণে যখন নাজেহাল মোদী সরকার, তখন শরদ পাওয়ারের বক্তব্য অপ্রত্যাশিত ভাবে মোদী সরকার൲ের হাত শক্ত করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।