𓂃 সংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য নয়া পেনশন প্রকল্প চালুর পরিকল্পনা করছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)। যে কর্মীদের মূল বেতন (মাসিক) ১৫,০০০ টাকার বেশি নয় এবং বাধ্যতামূলকভাবে যাঁরা ১৯৯৫ সালের এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমের (ইপিএস) আওতায় পড়েন না, তাঁদের জন্য সেই পেনশন প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সূত্র উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
নিয়ম অনুযায়ী, চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য সংগঠিত ক্ষেত্রের যে কর্মীদের মাসিক মূল বেতন (বেসিক পে এবং মহার্ঘ ভাতা) ১৫,০০০ টাকার বেশি নয়, তাঁরা বাধ্যতামূলকভাবে ১৯৯৫ সালের এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমের (ইপিএস) আওতায় পড়েন। সূত্র উদ্ধৃত করে পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছ𒈔ে, ‘এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের সদস্যদের তরফে বেশি পেনশন বা বেশি অর্থ দেওয়ার (কন্ট্রিবিউশন) দেওয়ার দাবি উঠছে।’ পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগামী ১১ এবং ১২ মার্চ গুয়াহাটিতে ইপিএফওয়ের সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের (সিবিটি) বৈঠকে সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ওই সূত্রের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, যে ইপিএফও উপভোক্তারা মাসে ১৫,০০০ টাকার বেশি বেতন পান এবং পেনশনের জন্য কম টাকা দিতে পারেন (১৯৯৫ সালের এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম অনুযায়ী, মাসিক ১৫,০০০ টাকার ৮.৩৩ শতাংশ হারে), তাঁরা অবসরের পর কম পেনশন পান। শুধুমাত্র চাকরিতে যোগদানের সময় সেই সীমা কার্যকর থাকে। মূল্যবৃদ্ধি এবং সংগঠিত ক্ষেত্রে 𝓡বেতন কাঠামোর পরিবর্তনের জেরে ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাড়ানো হয়েছিল সেই সীমা। পরবর্তীতে সেই সীমা বাড়িয়ে ২৫,০০০ টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সেই সীমা বাড়ালে ১৯৯৫ সালের এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমের (ইপিএস) আওতায় আসতেন আরও ৫০ লাখ কর্মী।