আগামী ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে তৃতীয় দফার করোনাভাইরাসের টিকাকরণ প্রক্রিয়া। এই পর্যায়ে ৪৫ বছরের উর্ধ্বে মানুষের টিকাকরণ হবে। এর কারণ একটাই। ৪৫ বছর বয়সের উর্ধ্বেই করোনা সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তাই তড়িঘড়ি এই বয়সের গ্রুপের টিকাকরণ সেরে ফেলা হবে। এমনটাই জানাল কেন্দ্র সরকার।এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১.৬ লাখ মানুষের। তাঁদের মধ্যে ৮৮ শতাংশের বয়স ৪৫-এর উর্ধ্বে। তাছাড়া এই বয়স গ্রুপে কেস ফেটালিটি রেট (আক্রান্তদের প্রাণহানির হার)-ও অনেক বেশি। এই বয়সসীমায় মৃত্যু হার ২.৮৫% । সব বয়সীদের মিলিয়ে এই হিসাব করলে ফ্যাটালিটি রেট দাঁড়ায় ১.৩৭% ।ন্যাশানাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সংক্ষেপে NEGVAC)-এর ব্লু-প্রিন্ট মেনেই চলছে টিকাকরণ। সেই ছক অনুযায়ী, প্রথমেই টিকা পেয়েছেন প্রথমসারির করোনা যোদ্ধারা। অর্থাত্ চিকিত্সক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিসকর্মী ইত্যাদি পেশায় যুক্তরা। এমন মানুষের মোট সংখ্যা প্রায় তিন কোটি।তারপরেই শুরু হয় দ্বিতীয় ফেজের টিকাকরণ। এক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে যাঁদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। টিকাকরণ হচ্ছে ষাটোর্ধ্বদের। তার পাশাপাশি ৪৫-৫৯ বছরের মধ্যে কো-মর্বিডিটি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের। এরপরেই অগ্রাধিকারের সিঁড়িতে রয়েছেন ৪৫ থেকে ৫৯ বছরের ব্যক্তিরা।কেন্দ্র জানিয়েছে, নয়া পর্যায়ের জন্য অতিরিক্ত ভ্যাকসিনের জোগান প্রস্তুত। সেদিকে কোনও সমস্যা নেই। তবে, শুধু সরকারি পরিষেবার উপর নির্ভরশীল না থেকে বেসরকারি ক্ষেত্রের সাহায্য মিললে টিকাকরণ আরও দ্রুত হবে। এমনটাই মনে করছে কেন্দ্র। বুধবার একদিনে সরকারি হাসপাতালে ৩৪,৪৮১ জনের টিকাকরণ হয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালে টিকা নিয়েছেন ৫,৪২৫ জন।দিল্লি ও হরিয়ানাতেই বেসরকারি হাসপাতালে টিকাকরণ বেশি। মোট ভ্যাকসিনেশনের ৫০%-ই বেসরকারি হাসপাতালগুলি থেকে নেওয়া। অন্যদিকে পুদুচেরি, উত্তরাখণ্ড, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর ও মহারাষ্ট্রে ৭০%-এরও বেশি টিকাকরণ হয়েছে সরকারি হাসপাতাল থেকেই।অন্যদিকে আবারও দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। বুধবার ২৪ ঘণ্টায় ৫৩,০০০-এরও বেশি নতুন সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। গত বছর অক্টোবরের পর থেকে এটাই একদিনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ। নয়া ডবল মিউট্যান্ট প্রজাতির জেরেই লাফিয়ে লাফিয়ে আবারও সংক্রমণ বাড়ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।