বিভিন্ন দেশের নেতারা মুখ খুলছিলেন। এবার রাষ্ট্রপুঞ্জের দরবারেও উঠে এল কৃষক বিক্ষোভের প্রসঙ্গ। রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি-জেনারেলের আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফান জুরারিক জানান, মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের অধিকার আছে। তা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে প্রশাসনকে। কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে একটি প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের সেক্রেটারি-জেনারেলের মুখপাত্র বলেন, ‘ভারত সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে আমি সেই কথাই বলব, যা অন্যরাও সেই বিষয়গুলি উত্থাপন করার সময় আমি বলে থাকি। তা হল যে মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদের অধিকার আছে। এবং তাঁদের তা করতে উচিত প্রশাসনের।’আপাতভাবে নিরীহ এবং রুটিন সেই মন্তব্যের জেরে কিছুটা হলেও আন্তর্জাতিক মহলে অস্বস্তিতে পড়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। যদিও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বিদেশি নেতাদের মন্তব্যের পরিপ্রক্ষিতে সেগুলি সম্পূর্ণ ‘অযাচিত’ বলে জানিয়েছে ভারত। কারণ তা ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে সাফ জানায় নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘ভারতের কৃষকদের সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা কয়েকটি অজ্ঞাত মন্তব্য দেখতে পেয়েছি। সেই মন্তব্যগুলি অযাচিত, বিশেষত তা গণতান্ত্রিক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’ উল্লেখ্য, তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে গত ন'দিন ধরে দিল্লির সীমান্তে পঞ্জাব, হরিয়ানা-সহ অন্যান্য রাজ্যের হাজার-হাজার কৃষক বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সেই তিনটি আইনই ‘কৃষক-বিরোধী’ বলে লাগাতার প্রতিবাদ চলছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও। কৃষকদের অভিযোগ, নয়া আইনের ফলে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে বড় বড় বাণিজ্যিক সংস্থার উপর কৃষকদের নির্ভর করতে হবে। সরকারের আশ্বাসেও তাঁরা নিজেদের দাবিতে অনড় আছেন। একাধিক কেন্দ্র এবং কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু পঞ্চম দফার বৈঠকের পরও কোনও সমাধানসূত্র বের হয়নি।