লোকসভা নির্বাচন এখন দুয়ারে। সর্বভারতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোট হয়েছে। দেশের তামাম বিরোধী দলগুলি একমঞ্চে এসেছেন। প্রত্যেক রাজ্যের শাসকদল বা বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসে﷽র আসন সমঝোতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। দু’একটা জায়গা ছাড়া বাকি সব মিটে গিয়েছে। এমন আবহে কেরল রাজ্যে দেখা গেল বিপরীতমুখী ছবি। একদা কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে করুণাকরণের মেয়ে পদ্মজা বেনুগোপাল বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কেরলের এই ঘটনাকে সামনে নিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন কংগ্রেসকে তুলোধনা করলেন। আর তখনই ইন্ডিয়া জোট নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
এদিকে দেশের স্বার্থে বামপন্থীদেরই নির্বাচিত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মনে করেন, বিজেপি যদি জেতে তাহলে তাঁরা ক্ষমতায় থাকবে। এখনও তাঁরাই ক্ষমতায় আছে। আর কংগ্রেস যদি জেতে তাহলে গেরুয়া পার্টির সঙ্গে হাত মিলিয়ে নেবে। শনিবার তিরুঅনন্তপুরমে এলডিএফ নি𓃲র্বাচনী কনভেনশনের উদ্বোধন করে এই ভাষাতেই কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন পিনারাই বিজয়ন। তিনি বলেন, ‘যদি বিজেপি জেতে তাহলে তাদের দল ক্ষমতায় থাকবে যেমন আছে। আর যদি কংগ্রেস জেতে তাহলে পরের দিনই বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাবে।’ অর্থাৎ কংগ্রেস যে বিজেপির বি–টিম, এজেন্ট—যেটা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলে এসেছেন সেটাই বোঝালেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রীও।
আরও পড়ুন: রামꩲ নবমীতে ছুট🐲ি ঘোষণা করল নবান্ন, লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজ্ঞপ্তি জারি
অন্যদিকে কেরলে মাঝেমধ্যেই শোনা যায়, বন্যপ্রাণীর হামলায় মানুষ মারা গিয়েছে। অথবা মানুষ বন্যপ্রাণীর উপর হামলা করে শিকার করার পর তার চামড়া থেকে নখ বিক্রি করে মুনাফা করছে। এই দুটো বিষয়েরই সমাধান চেয়েছিল কেরলের বাম সরকার। এই বিষয়টܫি নিয়েও কড়া সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁর কথায়, ‘এই আইনে সংশোধনী আনা প্রয়োজন ছিল। বন্যপ্রাণী আইন কার্যকর হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীর আমল থেকে। সেটাকে শক্তিশালী করেছিলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। কিন্তু সংসদে এই বিষয়টি নিয়ে একটি প্রচেষ্টাও করতে দেখা যায়নি ওয়াইনাড় লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ রাহুল গান্ধীকে।’
এছাড়া কেরল থেকে কংগ্রেসের ১৮টি সাংসদ হয়েছিল। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে কেরলের আওয়াজ সংসদে তোলেননি তাঁরা বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। কংগ্রেসের ১১ জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এখন কোন দলে আছেন বা অবস্থান কি স𝄹েটা নিয়ে তোপ দাগেন কেরলের বামপন্থী রাজনীতিবিদ। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন প্রশ্ন তোলেন, ‘কিছু মানুষ এখন দ্বিধাগ্রস্ত। কংগ্রেসের সঙ্গে অন্যান্য দলের তফাত কী? কোনও পার্থক্য কি আছে? কংগ্রেস নেতাদের এখন অবস্থান কী? কোন দিকে ১১ জন প্রাক্তন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন? তাঁরা এখন বিজেপির সঙ্গে আছে। অশোক চ্যবন, অমরিন্দর সিং, দ্বিগম্বর কামাত, এসএম কৃষ্ণ, বিজয় বহুগুণা, কিরণ কুমার রেড্ডি, এনডি তিওয়ারি, জগদম্বিকা পাল, পেমা খান্ডু, নারায়ণ রানে এবং গিরধর গামাং। এই ১১ জন। আর কতজন? কেউ তা পূর্বাভাস দিতে পারে না। কেউ বলতে পার🐎বে? এটাই কংগ্রেসের অবস্থা।’