সন্দীপ ভাস্করজন সূরয পদযাত্রায় বেরিয়েছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। বিহারের গণতন্ত্রকে আরও শক্তপোক্ত করতে তাঁর এই উদ্যোগ। তবে তিনি আদৌ কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোট লড়বেন কি না সেটা পরিষ্কার নয়। তবে পিকের সমর্থিত প্রার্থী কাউন্সিল ভোটে জয়ী হয়েছেন। এমএলসি ভোটে আফাক আহমেদের জয়কে ঘিরে এটা প্রমাণিত যে এবার বিহারে পিকের সংগঠন ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।সরন জেলায় ১৮৭দিনে পড়ল পিকের পদযাত্রা। তিনি বলেন, জন সূরয বিজেপি কিংবা আরজেডির ভোট কাটবে না। জনতাই তাদেরকে এবার দরজা দেখাবে। আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে জনতা হতাশ। চম্পারণ বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। সিওয়ান, ছাপড়া, গোপালগঞ্জ আরজেডির ঘাঁটি। কৃষকের ছেলের সামনে পরাজিত হলেন তারা। এটা সাধারণ ব্যাপার নয়।বিজয়ী আহমেদ জানিয়েছেন অরাজনৈতিক গ্রুপ এবার এনডিএ বা জোটের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে।তিনি বলেন জন সূরয যাত্রা শিক্ষকদের দাবির সমর্থনেও গড়ে উঠেছে। গত ২ অক্টোবর থেকে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল। অত্য়ন্ত ভালো প্রভাব পড়েছে এই যাত্রার। হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি জানিয়েছেন, নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করাটা এত সহজ ছিল না। শিক্ষকরা আমার পাশে ছিলেন। অনেকেই তাকিয়ে রয়েছেন পিকের দিকে। এনডিএর প্রতি মোহভঙ্গ হয়েছে সাধারণ মানুষের।জন সূরয অভিযান আহমেদকে সমর্থন করেছিল। আর তাতেই বাজিমাত করলেন তিনি। পিকের সমর্থিত প্রার্থীই শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসলেন। মহাজোটের প্রার্থী আনন্দ পুষ্করকে তিনি হারিয়ে দিয়েছেন। ফের বিহারে দেখা গেল পিকের ম্যাজিক। তবে কি বিহারে আগামী ভোটের আগে নিজের জন্য রাজনৈতিক জমি শক্তপোক্ত করছেন পিকে? রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো অভিযান কতটা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পেরেছেন তা তর্ক সাপেক্ষ। তবে পিকে নিজে বেরিয়েছেন পদযাত্রায়। আর সেই পদযাত্রার ফল মিলছে হাতে নাতে। এবার বিহারে পিকে কে ঘিরে অনেকেই চিন্তা বাড়তে শুরু করল।এর আগে পিকের সংস্থা বাংলায় তৃণমূলকে ভোটের লড়াইতে সহায়তা করত। এবার পিকে নিজেই বিহারে নিজের ফোরামকে গুছিয়ে রাখছেন। কীসের জন্য? কতটা সফল হবেন পিকে? তা বলবে সময়।