প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবার হিমাচল প্রদেশের লেপচায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করতে গিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে মোদী জওয়ানদের সঙ্গে দীপাবলির দিন মিলিত হন। এটি ছিল প্রধানমন্ত্রীর দশম দীপাবলি উদযাপন। হিমাচল প্রদেশের লেপচা থেকে তাঁর বার্তা ছিল, ‘যতদিন সীমান্তে আমাদের সেনা হিমালয়ের মতো দৃঢ় রয়েছে ততদিন ভারত সুরক্ষিত থাকবে।’ তবে এবা✃র তাঁর এই সেনাবাহিনীর সঙ্গে হিমাচল প্রদেশে দীপাবলি পালনকে রাজনৈতিক চমক বলে কটা﷽ক্ষ করেছেন বিরোধী নেতারা। কংগ্রেসের উদিত রাজ থেকে রশিদ আলভি খোঁচা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে।
এদিকে এখন পাঁচ র𝓡াজ্যের নির্বাচন চলছে। সেখানে সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। কংগ্রেস নেতা উদিত রাজ এই দীপাবলি নিয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রী লেপচা গিয়েছিলেন নির্বাচনী প্রচার করতে। ক📖ংগ্রেস সেনাবাহিনীকে সম্মান জানায়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীর প্রতি বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জওয়ানদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর ছবি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘আমাদের সাহসী নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করতে হিমাচল প্রদেশের লেপচায় পৌঁছেছি’। হিমাচল প্রদেশের লেপচা তিব্বতের সীমান্তবর্তী ও চিনের কাছ থেকে হুমকির কারণে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে এই দীপাবলির উদযাপনে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে তুলোধনা করেছেন কংগ্রেস নেতা উদিত রাজ। আজ, সোমবার গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনের জন্য ব্যবহার করছেন। কী করেছেন প্রধানমন্ত্রী তাঁদের জন্য যাঁরা পুলওয়ামায় শহিদ হয়েছেন? এখনও পর্যন্ত কিছু না। প্রধানমন্ত্রী শুধু নিজের ভোটের প্রচারকে গুরুত্ব দেন। আর কোন কিছুকেই গুরুত্ব দেন না। বহু জওয়ান মারা গিয়েছেন পুঞ্চ সেক্টরে এবং মণিপুরে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শুধু ব্যস্ত থেকেছেন নির্ꦅবাচনী প্রচার নিয়ে।’
আরও পড়ুন: জুয়ার ঠেক🍌ে হানা দিতেই পুলিশকে বেদম মারধর,🦹 আইনজীবীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ
এছাড়া কংগ্রেস নেতা রশিদ আলভিও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। প্রধানমন্ত্রী আগে বলেছিলেন, সেনাবাহিনী তাঁর পরিবারজন। এবার সেটাকে খোঁচা দিয়ে কংগ্রেস নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রীর কোনও পরিবার নেই। তাঁর কটাক্ষ, ‘উনি একা থাকেন, ওনার কোনও পরিবার নেই। কিন্তু তিনি এসব নিয়ে রাজনৈতিক খেলা খেলেন। উনি সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে মিলিত হন। অথচ কাশ্মীরে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের জন্য কী💎 করেন?’ উল্লেখ্য, ২০২১ সালের দীপাবলিতে তিনি ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের নৌশেরা সেক্টরে যান। ২০১৯ সালে রাজৌরি জেলা এবং ২০১৮ সালে উত্তরাখণ্ডে উৎসব পালন করতে যান।