২০১৯ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তামিল সংস্কৃতির আদলে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাদ শার্ট পরা জিনপিং এবং দক্ষিণী ধাঁচে ধূতি পরিহিত মোদীর সেই ছবি আজও মনে থাকবে অনেকেরই। তবে এরপর থেকেই 💟দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর সেই সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। এরপর থেকে বাণিজ্যের স্বার্থে একাধিকবার চিন দেখাতে চেয়েছে যে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক। তবে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বারবারই বলে এসেছেন, সীমান্ত সমস্যা না মেটা পর্যন্ত দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না। আর মার্কিন সফরের আগে সেই একই কথা বলতে শোনা গেল নরেন্দ্র মোদীকে। ওয়াশিংটনের উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার আগে মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে একান্ত সাক্ষাৎকার দেন মোদী। সেখানেই চিন ইস্যুতে মুখ খোলেন তিনি।
মার্কিন সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদী বলেন, 'চিনের সাথে স্বাভাবিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য সীমান্ত এলাকা♑য় শান্তি ও স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত। আইনের শাসন পালন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। মতবিরোধ থাক🀅তেই পারে। তবে তার শান্তিপূর্ণ সমাধান করা উচিত। এটাই আমাদের মূল বিশ্বাস।' একই সময়ে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে মোদী বলেন, 'ভারত নিজের সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদা রক্ষার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।' মোদীর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিক্রিয়া চেয়েছিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তবে রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিষয়ে কিছু বলেনি চিন।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে ভারত ও আমেরিকা ক্রমেই 'ভালো বন্ধু' হয়ে উঠেছে। এর অন্যতম কারণ হল চিন। দুই দেশেরই সম্পর্ক চিনের সঙ্গে খুব একটা ভালো নয়। যদিও সেই সম্পর্ক মেরামতি করতেই বর্তমানে চিন সফরে রয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তবে চিন🐎ের দাদাগিরি রুখতে আমেরিকা যে ভারতের দিকে তাকিয়ে, তা বলাই বাহুল্য। এর জন্যই চিনের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছে আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত। কোয়ড নামক এই জোট কৌশলগত হলেও একসঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশ নেয় এই চার দেশ। এদিকে লাদাখ সহ সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় চিনা আগ্রাসন নিয়ে বারবার ভারতেরই পক্ষ নিয়ে ওয়াশিংটন। ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার পক্ষে সওয়াল করেছে আমেরিকা।