কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শুক্রবার বলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন গত মাসে তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল করার ঘোষণার সময় ক্ষমা চেয়েছিলেন, সেই ক্ষমা প্রার্থনা ‘অসম্পূ❀র্ণ’ ছিল। রাহুলের স্পষ্ট বক্তব্য, কৃষকদের বাকি দাবি না মানা পর্যন্ত সেই ক্ষমাপ্রার্থনা ‘অসম্পূর্ণ’।
রাহুল গান্ধী আরও বলেছেন যে মোদীর উচিত সংসদে ব্যাখ্যা করা যে তিনি কীভাবে তিনটি ‘কৃষিবিরো💃ধী’ আইন আনার জন্য ‘প্রায়শ্চিত’ করবেন। রাহুল একটি টুইট বার্তায় মোদীকে চারটি প্রশ্ন করে লিখেছেন, ‘যেহেতু প্রধানমন্ত্রী কৃষি বিরোধী আইন প্রণয়নের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন, তাই সংসদকে বলুন আপনি কীভাবে প্রায়শ্চিত্ত করবেন।’ রাহুলের প্রশ্ন, ‘লখিমপুর মামলায় মন্ত্রীর পদত্যাগের কী হল? শহিদ কৃষকদের ক্ষতিপূরণের কী হবে? এমএসপির কী হবে? সত্যাগ্রহীদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মিথ্যা মামলার কী হবে?’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ আন্দোলনের সামনে কতকটা রাজনৈতিক কারণেই ব্যাকফুটে যায় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা করতেই আন্দౠোলনকারীদের বাড়ি ফেরার অনুরোধ করেন। তবে আন্দোলকারীরা যে ফিরছেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইত। শুধু কৃষি আইন প্রত্যাহার নয়, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, কিষান মান্ডির ক্ষমতা বৃদ্ধি-সহ আরও একাধিক দাবি ছিল কৃষকদের। আইনগুলি প্রত্যাহারের দাবি মানা হলেও💜 বাকি দাবিগুলির কী হবে, সেটাও একটা প্রশ্ন।
উল্লেখ্য,💖 বিরোধীদের তুমুল হট্টগোলকে উপেক্ষা করে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় এই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব ছিলেন বিরোধীরা। এদিকে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এই বিল বাতিলের প্রস্তাব আনেন। তিনি জানিয়ে দেন এনিয়ে কোনও আলোচনার প্রয়োজন নেই, কারণ সকলেই এই বিল বাতিলের পক্ষে রয়েছেন। অবশ্য ফসলের ন্যুনতন দাম পাওয়ার দাবিতে আইন করা🌠র আবেদন জানিয়ে কৃষকদের আন্দোলন আজও অব্যাহত। আর এই ইস্যুতেই এবার কেন্দ্রকে চেপে ধরতে চায় বিরোধীরা।