সম্প্রতি বেঙ্গালুরু শহরে একের পর এক চুরি হয়ে যাচ্ছিল বাইক। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে হতবাক করার মতো তথ্য পেল পুলিশ𝓀। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন এই ঘটনায় ধৃত চোর অশোক ওরফে আপেল বন্ধুর স্ত্রীর ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করতে বাইক চুরির পথে নেমেছিলেন। অশোক ছাড়াও এই ঘটনায় সতীশ নামে তার এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে বাইক চুরির গ্যা💫ং চালাত ‘দিদি’, পর্দাফাঁস করল প𒁏ুলিশ, ধৃত ২
জানা গিয়েছে, অশোক পেশায় একজন ফল বিক্রেতা। তার এক বন্ধুর স্ত্রীর স্তন ক্যানসার ধরা পড়েছিল। তার চিকিৎসার জন্য বাইক চুরির পথে নেমেছিলেন অশোক। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন এর আগেও বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের জন্য অশোকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন তার স্ত্রী। এর⭕পর তার ওই বন্ধু এবং বন্ধুর স্ত্রী তার দেখাশোনা করে। তাই বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে তার স্ত্রীর জন্য অর্থ উপার্জন করতে বাইক চুরির পথে নামেন তিনি। গত কয়েক মাসে তার বিরুদ্ধে ১৫ টি বাইক চুরির অভিযোগ রয়েছে। আর এই চুরির তালিকায় রয়েছে কেটিএম পালসার সহ একাধিক মূল্যবান বাইক।
সম্প্রতি অশোক এবং তার সঙ্গী সতীশ বেঙ্গালুরুর গিরিনগরে একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের একটি বাইক চুরি করেছিলেন। এই মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ অশোককে গ্রেফতার করেছিল। তার এক মাস পর জেল থেকে তিনি ছাড়া পেয়ে যান। এরপর আবার অন্য একটি চুরির মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তখনই তদন্তকারীরা এই তথ্য জানতে পারেন। এমন তথ্য জা💮নতে পেরে হতবাক পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অশোকের বন্ধুর স্ত্রী একটি টেলিকম পর📖িষেবা প্রদানকারী ক𒅌োম্পানিতে কাজ করেন। অশোক তার চিকিৎসার জন্য চুরির বাইক বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন করেছেন তার বেশিরভাগই বন্ধুকে দিয়েছেন। অশোককে আপেল বলা হয় কারণ তিনি অপরাধ জগতে প্রবেশের আগে একজন ফল বিক্রেতা ছিলেন।
দুজনে রাতের বেলায় বাইক চুরি করতে বেরিয়ে পড়ত। তালা ভেঙে ঘর থেকে বাইক চুরি করত। তাদের প্রধান টার্গেট ছিল পালসার এবং কেটিএম বাইক। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ১০.৭ লক্ষ টাকা মূল্যের আটটি বাইক উদ্ধার করেছে। অন্যদিকে, তার সঙ্গে সতীশও বিভিন্ন অপরা🉐ধের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি সহ ৪০টি মামলা রয়েছে। তারা মোট কতগুলি বাইক চুরি করেছিল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।