কয়েক লক্ষ টাকার কোকেন কিনতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন একজন মহিলা চিকিৎসক। ঘটনাটি হায়দরাবাদের। বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, অনলাইনে এই পরিমাণ কোকেন কিনতে চেয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। ধৃত চিকিৎসকের নাম নম্রতা চিগুরুপতি। ঘটনায় বড়সড় মাদকচক্র জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।
আরও পড়ুন: নেশার বড়ি পাচার করতে গিয়ে ধৃত ২ তৃণমূল নেতা, ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করল দল
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, নম্রতা মুম্বইয়ের বাসিন্দা। একজন নামকরা চিকিৎসক। এর আগে তিনি একটি হাসপাতালের সিইও পদে ছিলেন। ৬ মাস আগে ওই পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। অভিযোগ উঠেছে, ৩৪ বছর বয়সি চিকিৎসক নম্রতা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বংশ ধাক্কর নামে একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর কাছে কোকেনের অর্ডার দিয়েছিলেন নম্রতা। প্রায় ৫ লক্ষ টাকার কোকেনের অর্ডার দিয়েছিলেন তিনি। এই পরিমাণ অর্থ তিনি অনলাইনে ধাক্করের কাছে পাঠিয়েছিলেন। ধাক্করও মুম্বইয়ের বাসিন্দা। পরে কুরিয়ারের মাধ্যমে এই কোকেন নম্রতার কাছে সরবরাহ করা হয়। সেইসময় নম্রতা ও একজন কোকেন সরবরাহকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নম্রতা ছাড়াও কোকেন সরবরাহের জন্য ধাক্করের সহযোগী বালকৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে একজন পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, নম্রতা নামে ওই চিকিৎসক মুম্বইয়ের ধাক্করের কাছ থেকে মাদক অর্ডার করেছিলেন। ওই ব্যক্তি আগে থেকেই চিকিৎসকের পরিচিত ছিলেন। এরপর বালকৃষ্ণ নামে একজন ব্যক্তি কোকেন সরবরাহ করতে আসলে রায়দুর্গমের মাদক চিকিৎসকের কাছে হস্তান্তর করেন। সেখানেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে আগেই এ বিষয়ে খবর ছিল। তাই পুলিশ তাঁদের ওপর নজর রাখছিল। তাঁদের কাছ থেকে নগদ ১০,০০০ টাকা, ৫৩ গ্রাম কোকেন এবং দুটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের আদালতে তোলা হলে তাঁদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় চিকিৎসক স্বীকার করেছেন মাদকের জন্য এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। এই অবস্থায় চিকিৎসক এত পরিমাণ মাদক নিয়ে কী করতেন, অন্য কোথাও মাদক সরবরাহের কথা ছিল কিনা, বা চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।